মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পটুয়াখালীতে যুবককে মারধর ও দোকান ভাংচুরের অভিযোগ

পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন বদরপুর ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামের মোঃ মেহেদী হাসান (২৮) নামের এক যুবককে মারধর ও তার দোকানে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৮ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে গতকাল রাতেই মোঃ মেহেদী হাসান বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে বিবাদীরা হলেন- ১. মোঃ শাকিল হাং (২২), পিতা- হানিফ হাং, ২. মোঃ শাকিল হাং (২২), পিতা- আঃ খালেক হাং, ৩. মোঃ সোহেল হাং (২৮), পিতা- মোঃ ফারুক হাং, ৪. মোঃ হৃদয় হাং (২৫), পিতা- মোঃ রফিক হাং, ৫. মোঃ জহির হাং (২৫), পিতা- নাসির হাং, সর্ব সাং- খলিসাখালী, থানা ও জেলা পটুয়াখালী সহ আরো অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন।

অভিযোগে বলা হয়, বিবাদীরা এলাকার দাঙ্গাবাজ, সন্ত্রাস ও খারাপ প্রকৃতির লোক। ১ ও ২নং সাক্ষীদ্বয় (গোপাল কর্মকার ও বিপ্লব দাস) বাদীর দোকানের মধ্যে বসে চাঁ খাইতেছিল। এমন সময় বিবাদীরা সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা- দাঁ, লোহার রড, হকস্টিক, লাঠি সোটা নিয়া পটুয়াখালী সদর থানাধীন- খলিসাখালী গ্রামের বটতলা বাজারের বাদীর মেহেদী কম্পিউটার এন্ড ষ্টেশনারী দোকানের মধ্যে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে উল্লেখিত সাক্ষীদের সহিত ক্রিকেট খেলার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে মারধর করিয়া জখম করে।

বাদী তখন বিবাদীদেরকে দোকান হতে বের হয়ে যাইতে বললে বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে তাকেও মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে এবং দোকানের মধ্যে থাকা একটি ফটোকপির মেশিন সহ বিভিন্ন মালমান ভাংচুর করে প্রায় ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়াও তারা দোকানের মধ্যে থাকা একটি ল্যাপটপ, যার আনুমানিক মুল্য ৪৫,০০০/- (পয়তাল্লিশ হাজার) টাকা ও নগদ ১,০০,০০০/- (একলক্ষ) টাকা এবং দোকানের মধ্যে থাকা ৩টি মোবাইল সেট, যার আনুমানিক মূল্য ৫,০০০/- পাঁচ হাজার) টাকা জোর পূর্বক ভাবে নিয়ে যায়।

পরে বাদী সহ অন্যান্যদের ডাকচিৎকারে সাক্ষীরা সহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা হুমকি সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে সাক্ষীরা ১নং সাক্ষীকে (গোপাল কর্মকার) সহ বাদীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। এরপর শারীরিকভাবে কিছুটা সুস্থ হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।