নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩ , আজকের সময় : রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ আছে : ভোক্তা মহাপরিচালক

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিক কিছু কারণ আছে। যেমন- বৃষ্টি, ঈদের সময়ে পরিবহণ সমস্যা, ছুটির জন্য পোর্ট বন্ধ থাকা ইত্যাদি। কিন্তু কাঁচা মরিচের মূল্য যে পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে তার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

রোববার (৯ জুলাই) কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কাঁচামরিচ, আদা, রসুন ও চিনির মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সুপারশপ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। ব্যবসায়ীদের অবশ্যই ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অভিযান ও সুপারশপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও আলোচনায় পরিলক্ষিত হয় কতিপয় সুপারশপ কাঁচা মরিচ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ অনুযায়ী নির্ধারিত সর্বোচ্চ লাভের চেয়ে বেশি লাভে বিক্রয় করেছে যার প্রভাব সামগ্রিক কাঁচা মরিচের বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে। যে সকল সুপারশপ অস্বাভাবিক লাভ করে কাঁচা মরিচের বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে তাদেরকে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শোকজ করা হবে এবং শোকজের ০৩ (তিন) দিনের মধ্যে এর জবাব প্রদান করতে হবে। যে সকল ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করবে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের প্রতিনিধি, ক্যাবের প্রতিনিধি, স্বপ্ন, আগোরা, ডেইলি শপ, ইউনিমার্ট, আমানাবাজার, মীনাবাজারসহ বিভিন্ন সুপারশপ প্রতিনিধি, কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রমুখ।

সভায় কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক জানান, কারওয়ান বাজারের আড়তদারগণ শুধু কমিশন পান, লাভ হয় ব্যাপারীদের।

এছাড়া স্বপ্ন, প্রিন্সবাজার, ডেইলি শপ ও আগোরা সুপার শপের প্রতিনিধিরা তাদের সুপার শপে গত ২৬ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত কাঁচা মরিচ ক্রয়-বিক্রয়ের উপাত্ত সভায় তুলে ধরেন। সুপার শপে কাঁচা মরিচ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ অনুযায়ী নির্ধারিত সর্বোচ্চ লাভের চেয়ে বেশি লাভে বিক্রয় করার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়।

আলোচনায় ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভুঁইয়া বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করলে পণ্যে মূল্য কমে যায়। কিন্তু এরকম মানসিকতা ব্যবসায়ীদের হওয়া উচিত নয়। ব্যবসায়ীদের নীতি-নৈতিকতা মেনে মানবিক দিক বিবেচনায় রেখে মুনাফা করতে হবে।

অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা উন্মুক্ত ও স্বাধীন হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের লাভ যেন গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য ব্যবসায়ীদের পরিমিতিবোধ বজায় রেখে ব্যবসা করতে হবে।