এনামুল হক রাঙ্গা (বগুড়া) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫

বগুড়ায় সারিয়াকান্দিতে খানাখন্দে পরিণত রাস্তা, জনদূর্ভোগ চরমে!

বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার সারিয়াকান্দি-কুতুবপুর সড়কের বেহাল অবস্থা হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগে পরেছে এই এলাকার মানুষজন। উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে, দিন-রাত  বালু বাহী ট্রাক, বিভিন্ন কোম্পানির পন্য বহনকারী যানবাহন, যাত্রীবাহী সিএনজি, ইজিবাইক, অটোভ্যান, রিক্সা ও শত শত যানবাহন চলাচল করে প্রতিনিয়ত।
গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সারিয়াকান্দি থেকে কুতুবপুর ১০ কিলোমিটার রাস্তায় অসংখ্য স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে গিয়ে খানাখন্দ এবং বেশ কয়েকটি স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, এ সড়কে অনেক ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। অনেক সময় সড়কে গাড়ি বিকল হয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। এই অঞ্চলের চালকদের জীবিকা ধারণের অন্যতম সড়ক এটি। এ গুরুত্বপর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় এখন সাধারণ মানুষ ও চালকদের কষ্ট করতে হচ্ছে। এ কারণে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সারিয়াকান্দি  উপজেলার দক্ষিণ এলাকার বোহাইল, কামালপুর, ভেলাবাড়ী, চন্দনবাইশা, কুতুবপুর ও কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দারাও গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি দিয়েই সারিয়াকান্দি সদরে যাতায়াত করেন। এছাড়াও সড়কটি দিয়ে পাশ্ববর্তী উপজেলা ধনুট হয়ে  সিরাজগঞ্জ যাতায়াত করেন বিভিন্ন এলাকার লোকজন। অনেকেই ওই পথ দিয়ে সিরাজগঞ্জ হয়ে টাঙ্গাইল ও ঢাকায় যাতায়াত করেন ।

এ ব্যাপারে কুতুবপুর গ্রামের অটোভ্যান চালক মামুন বলেন, এই রাস্তা এতোই ভাঙ্গা যে আমাদের চলা খুব কষ্ট হয়ে গেছে। খানাখন্দের মধ্যে পড়ে প্রতিনিয়তই গাড়ি যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে অনেক ।

স্থানীয় পথচারী বয়রাকান্দি  গ্রামের হেলাল উদ্দিন বলেন, এই রাস্তায় বড় বড় বালুবাহী ট্রাক চলার কারণে রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। হেটে যেতেও অনেক কষ্ট হয়। এখন আমাদের এই এলাকার মানুষের দূভোগের খোঁজখবর নেওয়ারও কেউ নেই ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তুহিন সরকার বলেন, সারিয়াকান্দি থেকে কুতুবপুর পর্যন্ত ২৫’শ ৫০ মিটার রাস্তার কাজের জন্য ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪’শ ৫০ টাকার বাজেট পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে দুই ভাগে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি শুরু করা হবে। অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের কিছু করার নেই।