নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দুদকের অভিযান

সেবা প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিআরটিএসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আজ অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, সিএনজি/পেট্রোলচালিত ৪ স্ট্রোক থ্রি-হুইলার অটোরিক্সা প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে স্ক্র্যাপ সংক্রান্ত কার্যক্রমে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)-এর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঘুষ দাবি ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল-৪, পূর্বাচলে উপস্থিত হলে স্ক্র্যাপ কার্যক্রম চলমান রয়েছে মর্মে দেখতে পান। টিম প্রথমে উপস্থিত স্ক্র্যাপ সংশ্লিষ্ট যানের মালিকদের কাছ থেকে গোপনে অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। স্ক্র্যাপের নিমিত্ত গঠিত কমিটি, বিআরটিএ -এর ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট যানবাহনের মালিকদের উপস্থিতিতে স্ক্র্যাপ কার্যক্রম  চলমান রয়েছে বলে টিমের কাছে পরিলক্ষিত হয়। স্ক্র্যাপ সংক্রান্ত নীতিমালা, ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট, স্ক্র্যাপের  আবেদন, ভেন্ডার নিয়োগ, স্ক্র্যাপ সম্পর্কিত মালামাল সংক্রান্ত এসওপিসহ অভিযোগ সংক্রান্ত অন্যান্য রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণপূর্বক টিম কর্তৃক কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

এদিকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সেবা প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করে দেওয়ার জন্য  ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে টিম কর্তৃক  উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। উপস্থিত সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে তাদের বক্তব্য সংগ্রহসহ প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হয়।

এছাড়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রকল্পের কাজ না করে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলনপূর্বক আত্নসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয় থেকে মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সংশ্লিষ্ট  ব্যক্তিদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয় এবং  প্রকল্প দুইটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে প্রকল্প দুইটির কাজ চলমান রয়েছে বলে টিম প্রত্যক্ষ করে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়, জামালপুর-শেরপুর-ময়মনসিংহ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম শেরপুর-ময়মনসিংহ নির্মাণাধীন রাস্তার কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে দেখা যায় যে, রাস্তার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। টিম কর্তৃক রাস্তা নির্মাণকাজে ব্যবহৃত কিছু ইট ও পাথর পরীক্ষার উদ্দেশ্যে নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে টিম শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেন এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেন।

অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যাবলি ও রেকর্ডপত্র যাচাইয়ের আলোকে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।