জিয়াউর রহমান (নিজস্ব প্রতিনিধি): , আপলোডের সময় : রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫

মির্জাগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে ভারী যান চলাচল, মূহুর্তেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে দুইটি ঝুকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত ২০-২২ টন ওজনের মালবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এ ব্রিজের উপর দিয়ে এমন ভারি যানবাহন চলাচলে যেকোনো মূহুর্তেই ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

জানা যায়, অন্তত ৩০-৩৫ বছর আগে এ ব্রিজ দুটি নির্মিত হয়। ব্রিজ দুটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ইতিপূর্বে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্রিজ দুটি ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করে ৫ (পাঁচ)  টনের অধিক ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ করে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। তারপরও থেমে নেই এ ব্রিজের উপর দিয়ে অধিক ভারি যানবাহন চলাচল।

এছাড়া মির্জাগঞ্জ – পটুয়াখালী সড়কের কপালভেরা ও গাবতলা নামক স্থানে অবস্থিত এ ব্রিজ দুটি অতি পুরনো হওয়ায় পাটাতনগুলো মরিচা ধরে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং পাটাতন সরে ফাঁকা হয়ে গেছে। প্রতিদিন এ ব্রিজের উপর দিয়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে। স্থানীয় মামুন গোলদার বলেন, ‘ব্রিজ দুটি ঝুকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ হলেও তার উপর দিয়েই প্রতিনিয়ত চলছে ২০-২২ টন ওজনের ভারী মালবাহী যানবাহন। আর ব্রিজের উপর মরিচা ধরে গর্ত ও পাটাতন সরে ফাঁকা হওয়ার কারণে প্রতিদিনই রিক্সা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও লোকজন গর্ত ও ফাঁকা অংশে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।’ এ বেইলি ব্রিজের উপর দিয়ে যাতে ব্রিজের ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

স্থানীয়রা বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজ দুটির অনেক বয়স হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। তা স্বত্বেও এ ব্রিজের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দিনে এবং রাতের আঁধারে ভারি মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। এতে যেকোনো মুহুর্তেই ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।’ তারা সরকারের কাছে এ ব্রিজ দুটি সরিয়ে পাকা সেতু নির্মাণের দাবী জানান। মধ্য মির্জাগঞ্জ গোলাপ গোলদার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার জামাল হোসেন বলেন, ‘ওই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন শত শত সাধারণ মানুষ ও স্কুল-মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। তাই যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদে যাতায়াতের স্বার্থে দ্রুত ব্রিজ দুটির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।’ এবিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচলের ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ মাসের সমন্বয় সভায়ও এই বিষয়টি উপস্থাপন করব। সড়কটির অবস্থাও খুবই বেহাল। যেহেতু ওই রাস্তাটি সড়ক ও জনপথের, তাই তাদের পক্ষ থেকে যদি ওয়েট স্কেলের ব্যবস্থা করে, তাহলে আমাদের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে সুবিধা হবে।’ পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের, য়ে আলোচনা করতে হয়। তাছাড়া এসব যন্ত্রপাতি আমাদের দেশে খুবই কম। আপাতত গাড়িগুলো যেন ওই রাস্তা দিয়ে না যেতে পারে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ভালো হয়।