
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর আসন্ন দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আল আজাদ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় মোরেলগঞ্জ বাজারে গণসংযোগ চালিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। এ সময় তিনি পৌর বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আল আজাদ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। ১৯৯৬ সালে তিনি বারৈখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হন।
তার রাজনৈতিক দক্ষতা ও নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়, তিনি বাগেরহাট জেলা বিএনপির নির্দেশনায় মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মনোনীত হন। পাশাপাশি, তিনি বিএনপি-সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আল আজাদ জানান, তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। তবে এসব চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে তিনি দলের জন্য কাজ করে গেছেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি আশাবাদী যে, মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনি দলের সাংগঠনিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করবেন এবং বিএনপির আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, “আমি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি। নির্বাচিত হলে দলের জন্য বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তার পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং তার প্রতি সমর্থন জানান।
দলের প্রতি অবিচল আনুগত্য, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আল আজাদ মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। এখন সময়ই বলে দেবে, আগামী কাউন্সিলে তিনি দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে পারেন কি না।