মো: নাজমুল ,মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ , আজকের সময় : বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মোরেলগঞ্জে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালীতে টেকসই বেড়িবাঁধ বাস্তবায়নের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার তুলাতলা কাশ্মীর নদীরপাড়ে শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

“প্রতিশ্রুতি নয়, চাই বাস্তবায়ন”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে ইয়ুথনেট গ্লোবালের উদ্যোগে মানববন্ধনটি আয়োজন করা হয়। এটি বিল্ডিং এজেন্সি অফ ইয়ুথ ইন ক্লাইমেট অ্যাকশন প্রকল্পের অংশ, যেখানে স্থানীয় লজিক ইয়ুথগ্রুপ সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। ব্রিটিশ কাউন্সিল ও অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে।

স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর টেকসই বেড়িবাঁধের প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়, কৃষিকাজ বাধাগ্রস্ত হয় এবং উপকূলবাসীর জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—
“প্রতিবার আশ্বাস পাই, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। প্রতি বছর ঘরবাড়ি ভেসে যায়, নতুন করে গড়তে হয়। কিন্তু কতদিন এভাবে চলবে?”

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ভুক্তভোগীরা, যাদের মধ্যে ছিলেন আব্দুল আলীম হাওলাদার, কাশ্মীর জামে মসজিদের ইমাম মো. আব্দুল হাই, মো. মিন্ঠু হাওলাদার, গৃহিণী ফরিদা বেগম ও শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার।

তারা তাদের বক্তব্যে বলেন,
“উপকূলের মানুষের জীবন রক্ষায় সাময়িক প্রতিশ্রুতি নয়, প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও টেকসই বেড়িবাঁধ।”জেলা লজিক ইয়ুথগ্রুপের টিম লিডার মো. নাজমুল তালুকদার বলেন—
“গত ৩০ বছর ধরে টেকসই বেড়িবাঁধের প্রতিশ্রুতি শুনে আসছি, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। প্রতি বর্ষায় জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, আর ভাটার সময় শুকনো মাটিতে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়।”

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান, যেখানে লেখা ছিল—

“প্রতিবার ত্রাণ নয়, চাই স্থায়ী সমাধান!”

“আজ যদি টেকসই বাঁধ হত, ঘরবাড়ি ডুবে যেত না!”

“আমরা কর দেই, সরকার টেকসই বাঁধ দিক!”

“নদী ভাঙনে হারিয়ে যাই, কবে টেকসই বাঁধ পাবো ভাই?”

“জোয়ার এলে ভাসতে হয়, সরকার কবে জাগবে?”

স্থানীয়রা হুঁশিয়ারি দেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন।

এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের আশঙ্কা, সমস্যার সমাধান না হলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে। তাদের একমাত্র দাবি— স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ, যা উপকূলবাসীর জীবন-জীবিকা রক্ষা করবে।