
মো. আনোয়ার হোসাইন জুয়েল,তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধ:
পহেলা বৈশাখ মানেই পান্তা ভাত-ইলিশের সমারোহ। বাঙালি জাতি বাংলা বর্ষের প্রথম দিনটিকে ঝাকজমকভাবে উৎযাপন করে থাকে। পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক, গান-বাজনা, নাচ-গান ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি প্রকাশ করে থাকি। আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়।
সারা দেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইলেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ঝাকজমকভাবে ১৪৩২ বাংলা সালের প্রথম দিনটিকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯ ঘটিকায় উপজেলা প্রাঙ্গণে জাতিয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে বৈশাখ উদযাপনের শুরু হয়। পরে উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুলের শিক্ষার্থী, পেশাজীবি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, কৃষক-কৃষাণী ও জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। আনন্দ শোভাযাত্রায় কোমলমতি শিশুরা বিভিন্ন রঙ্গে-বর্ণে সেজেছেন। কেহ সেজেছেন জামা-বধু, কেহ সেজেছে ঘটক। কেহ সেজেছে কৃষক-কৃষাণী, কেহ সেজেছে ইমাম, কেহ সেজেছে পুরোহিত। কেহ আবার মহিষের গাড়ীতে লাঙ্গল-জোয়াল কাঁদে বের হয়েছে। এ যেন বাঙালির প্রাণের উৎসব। ভেদাভেদ ভুলে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ সেজেছে আপন মহিমায়। সবার মুখে ধ্বনি হয়েছে- ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো….
আনন্দ শোভাযাত্রটি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পথ প্রদক্ষিণ করে আবার উপজেলা বিদ্যানিকেতনে এসে জড়ো হয়। পরে সেখানে বিভিন্ন স্টল ঘুরে কেনা-কাটা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), তাড়াইল থানা অফিসার ইনচার্জ ও অন্যান্ন অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ রাজনৈতিক ব্যিক্তিবর্গ, সংবাদকর্মী ও সাধারণ জনগন। সেখানে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ ও কোমলমতি শিশুদেরকে মাছ, ভর্তা, পাটশাক দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ানো হয়। এভাবেই উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয় বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনের প্রথম দিন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর প্রথম দিনকে বাঙালির বিভিন্ন সংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলার লক্ষে উপজেলার সর্বসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ, রাজনৈতিকবীদ, বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংবাদকর্মীবৃন্দস্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। বিশেষকরে স্কুলের শিশুরা আমাদের এ অনুষ্ঠানে অনেক আনন্দিত হয়। সকলকে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা করতে পেরে আমিও আনন্দিত।