বরগুনা প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ , আজকের সময় : সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

তালতলীতে নারী ইউপি সদস্য সহ চারজনকে মারধর

বরগুনার তালতলীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য সহ একই পরিবারের চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) পচাকোড়ালীয়া ইউনিয়নের গাব্বাড়ীয়া গ্রামে সকাল থেকে কয়েক দফায় তাদেরকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

আহতরা হলেন, পচাকোড়ালীয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারীর সদস্য মোসাঃ নাজমা বেগম , তার স্বামী সাবেক সৈনিক মোঃ শহীদ খান, ছেলে মো: আরিফ হোসেন এবং তার ছেলের স্ত্রী মোসাম্মৎ মরিয়ম আক্তার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারী ইউপি সদস্যের স্বামী মোঃ শহিদ খান বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষ সায়েদ খান, নুর খান, খলিল খান ও ফারুখ খানের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে জমি ক্রয় করেন । ক্রয় কৃত ওই জমিতে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ঘরে নির্মাণ করে মাছ চাষ করে আসছেন। গত পরশুদিন শনিবার হঠাৎ করে প্রতিপক্ষরা ১৫ থেকে ২০ জন লোক লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ঘের দখল করে নেন।

কোন উপায় না পেয়ে ঘটনার দিন ঘের মালিক শহিদ খান তালতলী থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমস্যার সমাধানের জন্য দুই গ্রুপকে থানা থেকে সালিশ বৈঠকে প্রস্তাব দেন। পরের দিন রবিবার থানায় সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তাই রবিবার সকালে থানায় শালিশ বৈঠকে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ নসু খান(৪৫)ফারুক খান(৪২) সরোয়ার খান(৪০)আসরাফুল(১৭) ইলিয়াস খান(৩০) সহ আর ২০ থেকে ২৫ জন পুরুষ মহিলা তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে তার পরিবারের সকল সদস্য আহত হয়। এমনকি তাদেরকে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য বাধা দেওয়া হয়।

কোন উপায় না পেয়ে ৯৯৯ -এ কল দিয়ে পুলিশের কাছে সহায়তা চান। পরবর্তীতে তালতলী থানা থেকে এসআই জহিরুলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তাদেরকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

নারী ইউপি সদস্য নাজমা বেগম বলেন, প্রতিপক্ষরা আমাদের মাছের ঘের দখল করে নিয়েছে। ন্যায় বিচারের আশায় তালতলী থানায় অভিযোগ দায়ের করি। থানায় অভিযোগ করার কারণে প্রতিপক্ষরা আমার পরিবারের সকল সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে যখম করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছি।

প্রতিপক্ষ ফারুক খন বলেন, আমরা ওই নারী ইউপি সদস্যের পরিবারের কারো ওপরে হামলা করিনি। উল্টো তারা আমাদের উপর হামলা করেছে। এতে আমাদের চারজন লোক আহত হয়েছে। তারা বরিশালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজালাল বলেন, আমরা ঘটনাটা জেনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।