আমতলী (বরগুন) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫ , আজকের সময় : রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

নাটকীয়তার শেষে তালতলীর জেলের লাশের ময়না তদন্ত

সকল নাটকীয়তা শেষে বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন মোল্লার দুই দফায় মারধরের নিহত জেলে ওবায়দুল হাওলাদারের (৪০) লাশের ময়না তদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে তালতলী থানা পুলিশ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠান। এ ঘটনায় তালতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ লাশ থানার নিয়ে আসার পর থেকে ইউপি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন মোল্লা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

জানাগেছে, তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গত ৫ জুন জেলেদের চাল বিতরন করা হয়। ওই সময় জেলে ওবায়দুল হাওলাদারকে ইউপি সদস্য জসিম মোল্লা চাল দেয়নি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষুব্দ হয়ে ইউপি সদস্য ওই দিন তাকে মারধর করে। এর জের ধরে গত সোমবার নতুন বাজার এলাকায় পেয়ে ইউপি সদস্য জসিম মোল্লা জেলে ওবায়দুলকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করে। পরে ওবায়দুল তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে ইউপি সদস্যের মারধরের বিচার চেয়ে ওবায়দুল তালতলী থানাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বুধবার রাতে ওবায়দুল অসুস্থ হয়ে বাড়ীতে মারা যান। এদিকে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন মোল্লা ওঠেপড়ে লেগেছেন। ইউপি সদস্য ওবায়দুল হাওলাদারের পরিবারকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে ওবায়দুলের পরিবার তার লাশের ময়না তদন্ত করতে রাজি হয়নি। কিন্তু পুলিশ ময়না তদন্ত ছাড়া লাশের দাফন করতে অসম্মতি জানায়। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার পরিবারের লোকজন ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশের দাফন করতে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসক তার আবেদনে সারা দেয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার রাতে ওবায়দুলের লাশ থানায় আনা হয়। শুক্রবার সকালে লাশের ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনাবেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন মোল্লা পলাতক রয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

তালতলী থানার ওসি মোঃ শাহজালাল বলেন, নিহত জেলে ওবায়দুল হাওলাদারের লাশের ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।