
বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর হেউলিবুনিয়া গ্রামের কয়েকশো পরিবারের জীবন কাটে এখন পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে। একটু বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি। নেই কোনো কালভার্ট, নেই মজবুত পাকা রাস্তা—ফলে প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কৃষক, কর্মজীবী নারী-পুরুষসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে।
বহু পুরনো মাটির রাস্তাটিও বিগত কয়েকবছরে পায়নি কোন সংস্কারের ছোয়া।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা এই রাস্তাটির উন্নয়নের দাবি জানিয়ে আসছেন। গ্রামবাসী বহুবার ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকৌশলী, জেলা প্রশাসনসহ বিগত সংসদ সদস্যের দপ্তরে অভিযোগ করেছেন, তবুও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্ষা মৌসুম এলেই এই কাঁচা রাস্তা একেকটি ছোট খালে পরিণত হয় এবং বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। কোনোরকম বাঁশ, কাঠ ও গাছের গুঁড়ি দিয়ে অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করে চলাফেরা করতে হয়, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পায়, রোগীদের হাসপাতালে নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সজিব হোসেন জানান, “সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা এই জলাবদ্ধ রাস্তা পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যেতে পারেনা এবং একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে ভোগান্তির আর শেষ থাকে না। অথছ ছোট একটা কালভার্ট দিলে যেমন রাস্তার এই দুরবস্থা দুর হতো তেমন ফসলি জমির জলাবদ্ধতাও কমে যেতো পাশাপাশি ২-৩ কিলোমিটার এই ছোট্ট রাস্তাটি পাকা করে দিলে আমরা অনেকটা সমস্যামুক্ত হতাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখন পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি। সারা দেশে উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও তা থেকে বঞ্চিত এই এলাকার মানুষজন। পৌর শহরের পাশে বসবাস করেও এই দুরবস্থায় আমরা আসলেই হতাশ”।
অপরদিকে, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট একজন সদস্য বলেন, “আমরা একাধিকবার লিখিতভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে বরাদ্দ না আসায় কাজ শুরু করা যায়নি।”
স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা চান, একটি টেকসই কালভার্ট ও পাকাকরণ কাজ যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু হয়। এভাবে বছরের পর বছর ভোগান্তির চিত্র আর দেখতে চায় না এলাকাবাসী।