
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের বেতানির বিলে ফুটেছে হাজার হাজার গোলাপি পদ্ম। বিলের গোলাপি পদ্মের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে আসছেন প্রকৃতি প্রেমিরা। কেউ ঘুরে দেখছে আবার কেউ তুলছে ছবি।
আগত পদ্ম প্রেমিরা এই ফুলের সঙ্গে ছবি তোলার পাশাপাশি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে পদ্মফুল। মানুষের কাছে এটি বেতানির বিল নামেই পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে বর্ষাকালে আরকে রোডের দুই পাশে ওই বিলে গোলাপি রঙ্গের অসংখ্য পদ্মফুল ফোটে। এমনিতে পদ্মফুল সারা বছর থাকে না। বর্ষাকালেই শুধু দেখা যায়। এসময় বিলের চেহারাই পাল্টে যায়। বিশেষ করে বিকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত নীল ও লাল আকাশের আভা বিলের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়।
কাউনিয়া উপজেলায় বিনোদনের তেমন কোন স্থান না থাকায় বর্ষা কালে পদ্ম ফুল দেখতে বিলে আসেন বিনোদন প্রেমিরা। ফুল ফোটার পর স্থানীয় কিছু ব্যাক্তি ফুল বিক্রি করে ভালই আয় করছেন। কিছু মানুষ কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিলের গোলাপি পদ্মা ফুল তুলে বিক্রি করছে। এতে সৌন্দর্য হারাচ্ছে পদ্মবিল।
প্রকৃতি প্রেমিগণ মনে করেন, পদ্ম বিলের সৌন্দর্য রক্ষায় এখনই পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন। তবে প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। বেতানি বিলের পদ্ম ফুল বিক্রেতা শিশু সাঈদ, বকুল, সোহাগ বলেন আমরা সারাদিনে ৪ থেকে ৫শত টাকার ফুল বিক্রি করে সংসারের কিছু খরচ করি। প্রতিফুল পদ্ম ৫-১০ টাকা বিক্রি করা হয়। রংপুর মহানগর থেকে আসা পদ্ম প্রেমি মো. ইব্রাহিম বন্ধুদের নিয়ে পদ্ম ফুলের বিল দেখতে এসেছেন।
এখানে ঘোরার মতো নৌকা বা অন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় দুর থেকে সৌন্দর্য উপভোগ করে প্রতিটি পদ্ম ফুল ১০ টাকা করে ক্রয় করে ফিরে গেলেন নিজ গন্তব্যে। পরিবেশবাদীদের দাবী বিলের ফুলগুলো সংরক্ষণ করা গেলে ভালো হতো। কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসন যেন বিলের সৌন্দর্য ও পদ্মফুল রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়। পদ্মফুল প্রেমি জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, পদ্মফুল ফোটার সময়ে বিলটা সংরক্ষণ এবং নৌকার ব্যবস্থা করা গেলে দর্শনার্থীরা আরও বেশি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিদুল হক বলেন, বেতানি বিলে পদ্ম ফুল ফুটেছে তা শুনেছি। বিলের ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায় ও বিক্রি করেন অনেকে এমন খবরও শুনেছি। আগামীতে বিলের সৌন্দর্য ও পদ্মফুল রক্ষায় বিল সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে। সবার প্রতি আহবান তারা যেন ফুল ছিঁড়ে সৌন্দর্য নষ্ট না করেন।