রংপুর ব্যুরো: , আপলোডের সময় : সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

দাওয়াত ছাড়াই বিয়ে বাড়ীতে উপস্থিত হন ইউএনও

দাওয়াত ছাড়াই বিয়ে বাড়ীতে উপস্থিত হলেন তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে দাওয়াত খাওয়ার জন্য নয়, বাল্যবিবাহ রোধ করার জন্য। দেশজুড়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়নে সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেননা হাজার চেষ্টা করেও বাল্যবিবাহ ঠেকানো যাচ্ছে না। তারই উদাহরণ রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পরিবার।

সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ওই বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে। গত ২৭ জুলাই রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের একটি গ্রামে এঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামে এক স্কুলছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিলো। সংবাদ পেয়ে গত রবিার রাতে ওই বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা। এসময় বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এসে মেয়ের বাবা বাল্যবিবাহের আয়োজন করার কথা স্বীকার করেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মেয়ের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, বাল্যবিবাহ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাল্যবিবাহের মাধ্যমে কিশোরীদের ভবিষ্যৎ চিরতরে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়। গোপন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে অভিযান চালানো হয়। গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। এসময় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা দেন মেয়ের বাবা।