
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণের বকেয়া ভাতা উত্তোলনে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক নেতাদের বিরুদ্ধে প্রায় তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ১১২ জন শিক্ষকের ডিপিএড প্রশিক্ষণের বকেয়া ভাতা গ্রহন করে। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক নেতারা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও হিসাব রক্ষণ অফিসের নাম ভাঙিয়ে প্রতিটি শিক্ষকের কাছ থেকে ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। এভাবে মোট প্রায় ৩ লাখ টাকা তোলা হয়েছে। এই অর্থ আদায়ের মূল হোতা হিসেবে অভিযোগ উঠেছে বড়ইয়াকুড়ি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা সমিতির কথিত সভাপতি জামাল হোসেন এবং রাজাবাড়ি স্কুলের বরখাস্ত কৃত শিক্ষক আবদুল জলিলের বিরুদ্ধে। আগামী ১১ আগস্ট সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে।
বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস পাল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হক তালুকদারকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটিতে আরও রয়েছেন, দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহমান ও বরুড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোলেমান ভুইয়া।
তদন্তের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক নেতারা ভুক্তভোগী শিক্ষকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন এবং এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।