নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫

‘দেশের মানুষের জীবন উন্নয়ন করাই বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি’

দেশের মানুষের জীবন উন্নয়ন করাই বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (০৪ আগস্ট) বিকেলে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গনে যুবদলের উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, কথারমালার রাজনীতি মানুষ আর চায় না। পরিস্কারভাবে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি যেমন বুঝি, এখানে প্রত্যেকটি মানুষ অনুধাবন করেন বাংলাদেশের জনগণ পরিবর্তন চায় এখন। আর স্বপ্ন কিংবা প্রতিশ্রুতি নয়, জনগণ এবার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি জনগণের সে আকাঙ্খাকে ধারণ করেই আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়ন করছে… চেষ্টা করছে। এজন্য আমাদের নেতাকর্মী, আমাদের দলের ভেতরে-বাইরে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ যারা আছেন তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছি, কাজ করছি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের আগামী দিনের নীতি জনগণের জীবন উন্নয়নের রাজনীতি। দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এটিই হবে আমাদের রাজনীতির অন্যতম মূল লক্ষ্য।

তারেক রহমান বলেন, আমরা মনে করি জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আমরা যত দ্রুত তার সঙ্গে সম্ভব আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের কাজ শুরু করব। তবে সারাদেশে জনগণের কাছে বিএনপির পরিকল্পনাগুলো পৌঁছিয়ে দিতে হবে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি যে শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাস করেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে যে নেত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন, আপনাদের সকলের দায়িত্ব আমাদের এ পরিকল্পনাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। কারণ জনগণের রায়, সমর্থন ও সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। মানুষের জন্য নেয়া এ কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন।

তারেক রহমান তার দীর্ঘ বক্তব্যে যুব সমাজের কর্মসংস্থানে কি কি করণীয় তার একটি বিস্তারিত পরিস্কল্পনার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা খাত, তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের কথাও বলেন।

যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিগত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী বিরোধী আন্দোলনে যুবদলের নেতাকর্মীরা নির্যাতন, নিপীড়ন উপেক্ষা করেও রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। আন্দোলন করতে গিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের শত নির্যাতনে, নিপীড়নেও যুবদল পিছিয়ে যায়নি রাজপথ ছেড়ে যায়নি। শুধুমাত্র জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যুবদলের ৭৮ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে।

জনগণ আপনাদের সঙ্গে ছিল আপনাদের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ছিল এ কারণেই আপনারা সাহসের সঙ্গে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছেন। আপনাদের প্রতি জনগণের সে আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখুন। মনে রাখবেন, জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলে আপনি নেতা, জনগণ প্রত্যাখ্যান করলে আপনি নেতা নন, যোগ করেন তারেক রহমান।

যুবদলের সভাপতি এম আবদুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাবেক নেতৃত্ব গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকত উল্লাহ বুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাইফুল আলম নিরব ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যুবদলের নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যদের সন্মাননা প্রদানসহ চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যেও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া ঢাকার পাঁচটি স্থানে আঁকা গ্রাফিতির ওপরে তৈরি একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। জুলাই-অভ্যুত্থানের ওপর কবিতা আবৃত্তি করেন নাসিম আহমেদ।