
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে জনতার গণপিটুনিতে রূপালাল দাস (৪০) ও প্রদীপ দাস (৩৫) নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে তারাগঞ্জ উপজেলায় সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুরের রূপালাল দাস ও মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামের প্রদীপ দাস। তারা সম্পর্কে ভাগনি জামাই-শ্বশুর। প্রত্যক্ষ্যদর্শী সুত্রে জানা যায়. রূপালাল দাসের মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার লালচাদ দাসের ছেলে ডিপজল দাসের সাথে।
আজ ১০ অঅগস্ট রবিবার বিয়ের দিন তারিখ নির্ধারণ করার কথা ছিল। এজন্য মিঠাপুকুর থেকে প্রদীপ দাস নিজের ভ্যান চালিয়ে রূপদাসের বাড়ির দিকে রওনা হন। কিন্তু গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা না জানা থাকার কারণে প্রদীপ দাস সয়ার ইউনিয়নের কাজীরহাট এলাকায় এসে রূপলাল দাসকে ফোন করেন। সেখানে রূপলাল দাস উপস্থিত হয়ে দু’জনে ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাদের দু’জনকে আটক করে জনতা। এরপর সেখানে লোকজন জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রদীপ দাসের ভ্যান থাকা বস্তা থেকে চারটি প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করেন স্থানীয় জনতা।
,একটি বোতল খুললে ভেতরে থাকা তরল পানি জাতীয়ের ঘ্রাণে অসুস্থ হয়ে পড়ে পাশারিপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন ও বুড়িরহাট এলাকার মেহেদী হাসান। এতে লোকজনের সন্দেহ আরও বাড়ে।এরপর অজ্ঞান কওে ভ্যান চুরির সন্দেহে মারপিট শুরু করেন। বটতলা থেকে মারতে মারতে তাদের বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয়। একপর্যায়ে তারা অচেতন হলে সেখানে তাদের ফেলে রাখা হয়।
পুলিশ রাত ১১টার দিকে তাদের উদ্ধার তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক রূপালাল দাসকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রদীপ দাসকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রবিবার ভোররাতে তিনিও মৃত্যু বরণ করেন। তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ ফারুক বলেন, গণপিটুনিতে দু’জনের মুত্যু হয়েছে।