রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

মুরাদনগরে নিখোঁজের ১০ দিনেও মেলেনি সন্তানের খোঁজ, ফিরে পেতে মায়ের আকুতি

কুমিল্লার মুরাদনগরে ভাড়া নিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ১০দিনেও সন্ধান মেলেনি অটোরিকশাচালক মো. মেহেদি হাসানের। নিখোঁজ অটোরিকশাচালক মেহেদি হাসান উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে।

থানা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১১ আগস্ট রাতে বাঙ্গরা বাজার থেকে মেহেদী হাসানের অটোরিকশায় করে তার বন্ধু খাইরুল হাসান কোম্পানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। পরে কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় আসলে অটোরিক্সাসহ নিখোঁজ হন মেহেদী হাসান ও তার বন্ধু খাইরুল হাসান। তার পর থেকে দুইজনেরই মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার পর দিন পরিবারের পক্ষ থেকে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি জিডি করা হয়। ঘটনার পর থেকে খাইরুল হাসানের স্ত্রী ও পলাতক রয়েছে।

এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম অটোরিকশাচালক মেহেদী হাসানকে হারিয়ে দিশাহারা অবস্থায় এখন মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

মেহেদী হাসানের বোনের জামাই মোহাম্মদ হোসেন জানান, ঘটনার দিন রাতে মেহেদী হাসানকে তার বোন ফোন দিলে মেহেদী হাসান জানায় রিজার্ভ ভাড়ায় তার পরিচিত একজনকে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ বাজারে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর তার বোন তাকে আবার ফোন করলে মোবাইলটি বন্ধ পায়। তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মেহেদী হাসানের মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, “আমার সংসারে একমাত্র রোজগার করে আমার এই পোলাটা। ছোট পোলার হার্টের সমস্যা। এখন আমি কি করমু! আমার পোলাটারে আপনারা খুইজা আইন্না দেন।”

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন মেহেদী হাসানকে ভাড়া হিসেবে নিয়ে যায় খাইরুল হাসান। তারপর থেকে মেহেদী হাসানকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার পরিবার বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। আমরা চেষ্টা করছি তাকে খুঁজে বের করার।তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর থেকে খাইরুল হাসান ও তার পরিবার পলাতক থাকায় তাদেরকে সন্দেহ করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে খাইরুলের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে।