
কুমিল্লার মুরাদনগরে রাতের আঁধারে বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বসতঘরের লাগোয়া খড়ের পাড়ায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে অল্পের জন্য বসতঘর সহ আরো একটি গোয়ালঘর বেঁচে গেলেও খড়ের পাড়া পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নবীপুর গ্রামের হাজী ফুল মিয়া সরকারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
শত্রুতা বসত এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে জানান বাড়ির মালিক হাজী ফুল মিয়া সরকার। এ ঘটনায় মুরাদনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিবেন বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে এশার নামাজের সময় কে বা কারা হাজী ফুলমিয়া সরকারের বসতঘরের পাশে থাকা বিশাল আকারের খড়ের পাড়ায় আগুন লাগিয়ে দেয়। বাড়ির লোকজন খড়ের পাড়ায় আগুন জ্বলতে দেখে শোরচিৎকার করলে এলাকাবাসী এসে আগুন নিভানোর ফলে বসতঘর ও দুটি গরুসহ গোয়ালঘরটি আগুন থেকে রক্ষা পায়।
বাড়ির মালিক হাজী ফুল মিয়া সরকার বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতেছে। এলাকাবাসী এসে আগুন না নিভালে খড়ের পাড়ার লাগোয়া আমার বসত ঘর ও দুটি গরু সহ গোয়ালঘরটি পুড়ে যেত। আমার ঘর পোড়ার উদ্দেশ্যে শত্রুতা বসত খড়ের পাড়ায় আগুন দিয়েছে। এ ব্যাপারে কাউকে সন্দেহ হচ্ছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা কেউ সরাসরি আগুন লাগাতে দেখিনি সেহেতু কারো নাম বলতে চাচ্ছি না। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত চাচ্ছি।
হাজী ফুল মিয়া সরকারের ছেলে মামুন সরকার বলেন, আমি মুরাদনগর উপজেলা সদর বাজারে ব্যবসা করি। আমার চাচাতো বোন আমাকে খবর দিলে আমি দ্রুত বাড়িতে এসে দেখি এলাকার সবাই আগুন নিভানোর চেষ্টা করছে। অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এলাকার লোকজন সময়মতো না আসলে আমার বসতঘর ও গোয়াল ঘরে আগুন লেগে যেত।
তিনি আরো বলেন, আমার বাবা এলাকার বিচার আচারে থাকেন, ন্যায় কথা বলেন, এ কারণে আমার বাবার সাথে অনেকেই শত্রুতামী করে আমাকে ও বাবাকে বিভিন্ন সময় হয়রানি করেছে। যেহেতু আমরা কেউ দেখিনি কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে সেহেতু আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদেরকে খুঁজে বের করেন। নয়তো আরেকদিন সরাসরি আমার বসতঘরেই আগুন লাগিয়ে দিতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী তানভিন আক্তার টিনা বলেন, আমি রাতে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি জেঠার ঘরের পেছনে খরের পাড়ায় আগুন। তখন জেঠিকে ডাক দিয়ে আগুনের কথা বলি। আমাদের সকলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায়।
স্থানীয়রা বলেন, চিৎকার শুনে আমরা দৌড়ে এসে আগুন নিভাই। যদি আগুন নিভানো না যেত তাহলে খড়ের পাড়ার সাথে থাকা দুটি ঘরেই আগুন লেগে যেত।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।