নিজস্ব প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজ থাকা সাংবাদিক ও লেখক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মেঘনা নদীতে মরদেহ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রমনা থানার ওসি মো. গোলাম ফারুক জানান, উদ্ধারকৃত মরদেহের ফুটেজ দেখে এখনও কনফার্ম হতে পারিনি। মরদেহের বেশ কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে পুরোপুরি কনফার্ম হওয়া যাচ্ছে না। তবে বিভুরঞ্জনের পরিবারের সদস্যরা মুন্সীগঞ্জে যাচ্ছেন মরদেহ শনাক্ত করতে।

বিভুরঞ্জন সরকারের ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছি। পুলিশ যে ছবি দেখিয়েছে, আমি নিশ্চিত ছবিটি দাদার। এখন কিছু ফরমালিটিজের জন‍্য যাওয়া।

এর আগে ২১ আগস্ট সকাল সোয়া ৯টায় বিভুরঞ্জন সরকার একটি লেখা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মেইল করেন। ফুটনোটে তিনি লেখেন, “জীবনের শেষ লেখা হিসেবে এটা ছাপতে পারেন।”

পরিবারের সদস্যরা জানান, ওইদিন ১০টার দিকে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে থানায় জিডি করেছে তার পরিবার।

সিনিয়র সাংবাদিক, কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকার স্কুলছাত্র থাকা অবস্থায় সাংবাদিকতার পেশায় জড়ান। একইসঙ্গে তিনি বাম রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন।

পঞ্চগড়ে থাকতে তিনি দৈনিক আজাদের প্রতিনিধি ছিলেন। এরপর ঢাকায় সাপ্তাহিক একতা, দৈনিক রূপালীতে কাজ করেন। নিজে সম্পাদনা করেছেন সাপ্তাহিক ‘চলতিপত্র’। একসময় ‘মৃদুভাষণ’ নামে সাপ্তাহিকের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। ‘দৈনিক মাতৃভূমি’র সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের প্রায় সব দৈনিক এবং অনলাইনে নিয়মিত কলাম লিখতেন তিনি।

আশির দশকজুড়ে তিনি সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের সহকারী সম্পাদক পদে থাকাকালে ‘তারিখ ইব্রাহিম’ ছদ্মনামে লিখে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।

সর্বশেষ তিনি দৈনিক আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিভুরঞ্জন সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।