
ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। কোনো একটি কেন্দ্র দখল করলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহীর আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক মতিবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ মতিবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, যারা ভোটকেন্দ্র দখলের আশায় আছেন তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। তাদের দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে। ভোটকেন্দ্র দখল করে জেতার সুযোগ দেয়া হবে না। ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে দেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, আগামী রমজানের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন সম্পন্ন করার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে শুনানি চলবে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত। ভোটকেন্দ্র বাছাইয়ের কাজও চলছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের সেসব সদস্যরা স্ব-উদ্যোগে ভোট জালিয়াতিতে জড়িত ছিল, তাদের এবার নির্বাচন কার্যক্রমে অংশ নিতে দেয়া হবে না।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সিইস বলেন, বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই।
এ এম এম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ভোট আসতে আসতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। ভোটের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে। অস্ত্রবাজী করে ভোটে জয়ী হওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নেই। যেহেতু এটা সংবিধানে নেই সেহেতু এর বাইরে কমিশন যেতে পারবে না। এ নিয়ে রাজনৈতিক তর্কবিতর্ক চললেও নির্বাচন কমিশনের এগুলো কাজ নয়। তবে আইন পরিবর্তন হলে এ পদ্ধতিতে ভোট হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। ভোটের জন্য কেনাকাটা এগিয়ে চলছে। সীমানা নির্ধারণের খসড়াও প্রকাশ করেছি। আগামী রোববার থেকে নির্বাচনী সীমানার শুনানি শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি চলবে।