রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ , আপলোডের সময় : রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি হত্যা? মুরাদনগরে এক বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

কুমিল্লার মুরাদনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক যুবকের লাশ মৃত্যুর এক বছর ১২ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান।

নিহত যুবক শফিউল্লাহ (১৮), উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে শফিউল্লাহ ও তার বন্ধু সোহাগ মোটরসাইকেলে করে মুরাদনগর থেকে হোমনায় খেলা দেখতে যাচ্ছিলেন। পথে রঘুনাথপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই শফিউল্লাহ নিহত হন এবং গুরুতর আহত সোহাগকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

প্রথমে বিষয়টি স্বাভাবিক সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা হলেও ঘটনার এক মাস পর নিহত শফিউল্লাহর বাবা মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, বড় আলীরচর গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে সিএনজি চালক মাইন উদ্দিন পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে বেপরোয়া গতিতে সিএনজি চালিয়ে শফিউল্লাহদের মোটরসাইকেলের ওপর উঠিয়ে দেন। এতে শফিউল্লাহ ও তার বন্ধু সোহাগ মিয়া নিহত হন।

মোস্তাফিজুর রহমানের মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে শফিউল্লাহর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তবে একই ঘটনায় নিহত সোহাগ মিয়ার পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তার লাশ উত্তোলন করা হয়নি।

মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাকিব হাসান খান বলেন, আদালতের নির্দেশে যথাযথ প্রক্রিয়ায় শফিউল্লাহর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। সোহাগ মিয়ার লাশও উত্তোলনের নির্দেশ ছিল, তবে তার পরিবার এতে রাজি না থাকায় প্রক্রিয়াটি আর সম্পন্ন করা যায়নি।