রিপোর্টারের নাম , আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

মুরাদনগরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

★নিজ নিজ পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন, ডেঙ্গুমুক্ত থাকুন

দেশজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুও। এ অবস্থায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিজস্ব উদ্যোগে শুরু হয় পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. সিরাজুল ইসলাম মানিক। মোট ২৫ জন কর্মী অংশগ্রহণ করেন এ অভিযানে। তারা হাসপাতালের ভেতরের ড্রেন, আশপাশের খালি জায়গা ও আবর্জনাপূর্ণ স্থানগুলো পরিষ্কার করেন।

ড. মানিক জানান, বর্তমানে সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৭ জন মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছেন। পাশাপাশি প্রতিদিন নতুন করে ৭০০ থেকে ৮০০ জন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এর প্রভাব মুরাদনগরেও পড়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধের একমাত্র কার্যকর উপায় হলো পরিবেশ পরিষ্কার রাখা। জমে থাকা পানি, আবর্জনা ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করলে এডিস মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব। তাই আমাদের হাসপাতালকে কেন্দ্র করেই আমরা এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান হাতে নিয়েছি।

শুধু এক দিনের অভিযান নয়, বরং এটি নিয়মিত কর্মসূচি হিসেবেও চালু হচ্ছে। গত মাসে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতি শনিবারকে ‘পরিচ্ছন্নতা দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। এদিন হাসপাতালের প্রতিটি কোণায় পরিচ্ছন্নতার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে সচেতন করবে। অনেকেই বলছেন, শুধু হাসপাতালে নয়— প্রতিটি পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজার এলাকায় পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ অনেক সহজ হয়ে উঠবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিস মশার প্রজনন ঠেকাতে জমে থাকা পানি অপসারণ, ড্রেন পরিষ্কার ও চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা ছাড়া বিকল্প নেই। তাই মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই উদ্যোগ এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।