কুমিল্লার মুরাদনগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণের মৃত্যুর প্রায় এক মাস পর স্থানীয় এক সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাগেরকান্দি তিতাস চৌরাস্তায় এলাকাবাসী ও পরিবহন শ্রমিকদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে মামলার সাক্ষী, প্রত্যক্ষদর্শী, সিএনজি-অটোরিকশা চালকসহ দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তিতাস ব্রিজে গিয়ে শেষ হয়।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আলীরচর গ্রামের দরিদ্র সিএনজি চালক মাইনুদ্দিনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ১ মাস ২০ দিন কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এসময় তার সিএনজিটিও জব্দ করা হয়, ফলে পরিবারকে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়েছে। দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তারা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফরিদ মিয়া বলেন, আমরা সবাই দেখেছি দুর্ঘটনাটি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে ঘটেছে। মাইনুদ্দিনের কোনো দোষ নেই। এরপরও তাকে জোরপূর্বক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী শাহজালাল জানান, সিএনজিতে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন নেই। তারপরও তাকে সাক্ষী করা হয়েছে। অন্যদিকে মামলার নবম সাক্ষী শামীম মিয়া বলেন, তিনি শুধু দুর্ঘটনার কথা শুনেছেন, তবুও তাকে সাক্ষী বানানো হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে নাগেরকান্দি তিতাস এলাকা থেকে হোমনার কাশিপুরে খেলা দেখতে যাওয়ার পথে রঘুনাথপুর এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শফিউল্লাহ ও সোহাগ নামে দুই তরুণ নিহত হন। এক মাস পর নিহত শফিউল্লাহ’র বাবা মোস্তাফিজুর রহমান সিএনজি চালক মাইনুদ্দিনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রায় এক বছর পর আদালতের নির্দেশে শফিউল্লাহ’র লাশ উত্তোলন করা হলেও সোহাগের পরিবার লাশ উত্তোলনে আপত্তি জানায়।
মানববন্ধনে বক্তারা এ মামলাকে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে এর দ্রুত প্রত্যাহার ও নির্দোষ সিএনজি চালক মাইনুদ্দিনের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।