জুবায়ের আহমাদ জুয়েল (কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি): , আপলোডের সময় : বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

তাড়াইলে সরকারি খাস খতিয়ানের ভূমির রাস্তা জোরপূর্বক বন্ধ ও দখলের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সরকারি খাস খতিয়ানের ভূমির রাস্তা জোরপূর্বক বন্ধ ও দখলের অভিযোগ ওঠেছে ৬নং দিগদাইড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ১. মো: সাত্তার মিয়া, পিতা- আব্দুল ছোবান ২. আঃ মোতালিব, পিতা- মেঘু হোসেন ৩. নুরুল ইসলাম, পিতা- মেঘু হোসেন ৪. আব্দুল হেকিম, পিতা- ইছব আলীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, থানার অফিসার ইনচার্জ ও এডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রাফিউল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ আমির হামজা বাদী হয়ে উক্ত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কথা অমান্য করে হঠাৎ রাতের আধারে ভূমিহীন বন্দোবস্ত মূলে প্রাপ্ত মালিক আব্দুল কদ্দুছ এর জায়গায় অস্থায়ী ঘর করে, রাফিউল উলূম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও কবরস্থানের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বর্তমানে লাশ নিয়ে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না, আমরা গ্রামবাসী এতদিন যাবৎ জেনে আসছি উক্ত রাস্তাটি ভূমিহীন বন্দোবস্ত মূলে প্রাপ্ত মালিক আব্দুল কদ্দুছ, তিনি রাস্তা দিতে ইচ্ছুক কিন্তু বিবাদীগন কিছুতেই রাস্তা দিতে রাজি নয়। উক্ত রাস্তা দিয়ে আরও ১০০ বছর পূর্বে থেকে মানুষ চলাচল করে আসতেছে। এই রাস্তাটি খোলা না হলে মাদ্রাসা ও কবরস্থান অচল হয়ে যাবে। তাই উক্ত বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন বিবাদীগণের সাথে কথা বললে বিবাদীগন আরও বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেয়।

বন্দোবস্ত মূলে প্রাপ্ত ভূমির মালিক, ১. মোঃ আব্দুল কদ্দুছ পিতা-আব্দুর রশিদ, ২. মোছাঃ জোছনা, পতি-আব্দুল কদ্দুছ এস.এ ১৭৭/আর,এস ২৮৪ দাগের ০.১১০০ একর ভূমি ১৭৪(১২)২০০৮-২০০৯/১১(১২)২০০৮-২০০৯ নং ভূমিহীন বন্দোবস্ত মূলে প্রাপ্ত মালিক। তারা বলেন- ‘মাদ্রাসা এবং কবরস্থানের প্রয়োজনে রাস্তার ভূমি দিতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।’

বন্দোবস্ত মূলে প্রাপ্ত অপর মালিক আব্দুস ছোবান বলেন, ‘আমি সরকার থেকে ভূমিহীন বন্দোবস্ত মূলে এস.এ ১৭৭/ আর,এস ২৮৪ দাগের ভূমি প্রাপ্ত হয়ে উক্ত ভূমিতে ভোগ দখলকার আছি। আমার ভূমিতে মাদ্রাসা ও কবরস্থানের জন্য রাস্তা দিতে আমি রাজি নই।’ ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তার রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় প্রকৃত পক্ষে যে জায়গায় গৃহনির্মাণ করা হয়েছে সেই জায়গাটির প্রকৃত মালিক আব্দুল কদ্দুস।

উল্লেখ্য, আব্দুস ছোবানের ছেলে আব্দুল কাদির রাতের আধারে রাস্তার উপর ঘর নির্মাণ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে।