
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা তানজিলা তাসনিমের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে আহত জুলাই যোদ্ধা সংগঠনের মুখ্য সংগঠক হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রংপুর মহানগরের বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)-এর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতির হাতে থাকা একটি অডিও রেকর্ড গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। সেই রেকর্ডে তাকে বলতে শোনা যায়—
হাবিবসহ আরও চার থেকে পাঁচজন নিয়মিত বিভিন্ন দপ্তরে যায় এবং নানা অজুহাতে সেখানে প্রেশার তৈরি করে। কখনো সমস্যার কথা বলে, কখনো বিভিন্ন দাবি তুলে অর্থ দাবি করে। আজকের ঘটনাতেও হাবিব সিটি করপোরেশনে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে। এবং সে এটা কন্টিনিউয়াস করে আসছে এবং তাদের কাছে বিভিন্ন ভাবে অনেক কিছু দাবি করার চেষ্টা করে এটা অনেক আগে থেকে আমাদেরকে জানাচ্ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা তানজিলা তাসনিম বলেন,
খারাপ ব্যবহার না, তবে একটু দুষ্টামি ছিলো আর কি। আশা করি বিষয়গুলো বুঝবে।
যে কোনো কিছু চাওয়া হলে লিগালি প্রসিডিউর অনুযায়ী চাইবে। যেকোনো কিছু লিগালি চাওয়া হলে লিগাল প্রসিডিউর অনুযায়ী লিগালি চাইবে। সেটা আমি তো ডিসিশন মেকার না, তাই না? আমার কাজ হচ্ছে ফাইলটাকে ফরওয়ার্ড করা। একদম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যারা আছেন, তারা ডিসিশন দেবেন — সে অনুযায়ী আমরা যে কোনো জিনিস মুভ করাবো। সবকিছুর একটা সিস্টেম আছে। এপ্রোচটাই রং ছিল, সে অনেক জুনিয়র — এজন্যই কিছু বলতে চাচ্ছি না।
এ বিষয়ে হাবিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটা তেমন কিছুই না। আমার বাসার সামনে একটি ছোট জায়গা আছে, সেখানে দোকান করার জন্য সিটি কর্পোরেশনে দরখাস্ত দিয়েছি। পরে আমি ম্যাডামকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করি, আমার জায়গাটা একটু সার্ভেয়ার দিয়ে মাপিয়ে দিতে পারবেন কি না। তিনি আমাকে সিটি কর্পোরেশনে এসে কথা বলতে বলেন। সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করি এবং শুধু এটুকুই বলেছি — যারা গুরুতর অবস্থায় আহত, তাদের অটো লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে ভাববেন। ম্যাডাম বলেন, “আমি কি একাই দায়িত্বে আছি? বাকিরাও দায়িত্বে আছে।” আমি বলি, “ঠিক আছে, আমরা সবাই প্রশাসক স্যারের সঙ্গে কথা বলব। আর আমি ম্যাডামের সঙ্গে কোনো বাক-বিতণ্ডায় জড়াইনি।