
বরগুনার আমতলীতে বিএনপির মিছিলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। রবিবার ও সোমবার রাতে দায়ের হওয়া এই দুই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমানসহ ৩৪১ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২২ অক্টোবর আমতলী উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় প্রথম মামলা করেন ছাত্রদল নেতা রাহাত প্যাদা। তিনি ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি রেখে বিস্ফোরক ও বিশেষ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি করা হয় উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি ও হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির ও আমতলী পৌর যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিত রসুল অপুকে। ওই রাতেই তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এরপর সোমবার রাতে একই ঘটনায় রাসেল নামে আরও এক ব্যক্তি দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধাকে প্রধান আসামি করে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ মামলায় পুলিশ সাবেক কাউন্সিলর বশির উদ্দিন হাওলাদার, মাহবুব মালাকার ও বারেক প্যাদাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালতের বিচারক মো. ইফতি হাসান ইমরান তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একই মিথ্যা ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
একই অভিযোগ করেন মামলার আসামি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি মোতাহার উদ্দিন মৃধাও।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিএনপির মিছিলে হামলার ঘটনায় থানায় বিস্ফোরক ও বিশেষ আইনে দুটি মামলা হয়েছে। এতে মোট ১১১ জনের নাম উল্লেখ ও ২৩০ জনকে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। এই দুই মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।