
সংবিধানের ঊর্ধ্বে কোনো সনদ বা চুক্তিকে আইনি কাঠামো দেওয়া স্বাধীন দেশের জন্য সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ড. কাজী মনির।
তিনি এ মন্তব্য করেন জাতীয় প্রেসক্লাবে “জাতীয় গণতন্ত্র মঞ্চ” কর্তৃক আয়োজিত ‘জুলাই সনদ ও গণভোট’ শীর্ষক আলোচনা সভায়।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সভায় ড. মনির বলেন,
> “সংবিধানই রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ আইন। এর বাইরে গিয়ে কোনো দলীয় সনদ বা ঘোষণা আইনি কাঠামো পেতে পারে না। এটি জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।”
ড. মনির আরও বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস ও জাতির মর্যাদা রক্ষায় ‘জুলাই সনদ’ পাসের গণভোট, জুলাই গণহত্যা ও ১৯৭১ সালের গণহত্যা বিচারের গণভোট একসঙ্গে আয়োজন করা প্রয়োজন। তাঁর মতে, এই দুই ঘটনার বিচার ও স্বীকৃতি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করবে এবং ন্যায়বিচারের পথ সুগম করবে।
তিনি বলেন,
> “বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে ইতিহাসের বিকৃতি বন্ধ করতে হবে। জনগণের রায়েই নির্ধারিত হোক—কে সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।”
গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে ড. মনির বলেন,
> “দেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য রক্ষায় সংবিধানকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় রাখতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে ক্ষমতার লড়াইয়ের বাইরে এসে জনগণের ন্যায্য দাবি ও ইতিহাসের সত্য স্বীকার করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত বাজারদর নিয়ন্ত্রণ, ঘুষ-দুর্নীতি রোধ, সুশাসন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস-ধর্ষণ-চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও নৈতিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
বিবৃতির শেষাংশে ড. কাজী মনির আশা প্রকাশ করেন,
> “কলঙ্কমুক্ত হোক বাংলাদেশ, প্রতিষ্ঠিত হোক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসন।”