আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসা ইউএনওকে রক্ষায় ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে মানববন্ধন

আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা নিয়ে বিতর্কিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খাঁনকে রক্ষায় মানববন্ধন করেছে উপজেলা ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানাগেছে, গত ১৩ মে মো. রোকনুজ্জামান খাঁন আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন—এমন অভিযোগ উপজেলা বিএনপির একাংশ নেতাদের।

গত ৬ এপ্রিল ইউএনও রোকনুজ্জামান খাঁন উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি গাজী সামসুল হক, সভাপতি মতিয়ার রহমানের ঘনিষ্ঠ বশির মৃধাসহ কয়েকজন নেতার সঙ্গে চৌরাস্তায় সকাল-সন্ধ্যা হোটেলের ভিআইপি কক্ষে গোপন বৈঠক করেন বলে অভিযোগ ওঠে। বৈঠক শেষে তাদের খাওয়া-দাওয়ার ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবিগুলো এখন “টক অব দ্য টাউন” আমতলীতে।

এছাড়া ইউএনও রোকনুজ্জামান খাঁনকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল ইসলাম মৃধার ছেলে ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপ্লবের সঙ্গে প্রায়ই প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। এতে বিএনপি, জামায়াত ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

বিএনপি নেতাদের একাংশের অভিযোগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরদের সঙ্গে ইউএনওর বৈঠক করা প্রমাণ করে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে স্বচিত্র প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই উপজেলা ছাত্রদলের বিতর্কিত সদস্য সচিব ইমরান খানের নেতৃত্বে ইউএনওকে রক্ষায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান খানের বাবা মকবুল আহমেদ খাঁন, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ও ইমরানের চাচা মো. জালাল খান, বড় ভাই এনামুল হক বাচ্চু খাঁন এবং উপজেলা কৃষকদল সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

এ বিষয়ে জানতে আমতলী উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব ইমরান খাঁনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসা ইউএনওকে রক্ষায় মানববন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, একটি ছবি দিয়ে কিছুই প্রমাণ হয় না।