মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : , আপলোডের সময় : সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ , আজকের সময় : সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

মোরেলগঞ্জে শিক্ষকের দেয়া মিথ্যা মামলায় সর্বশান্ত চা বিক্রেতা রবিউল

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব সরালিয়া ৪নং ওয়ার্ডে একটি জমি নিয়ে চা বিক্রেতা ও এক শিক্ষকের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে দখল ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ওই এলাকার বাসিন্দা মো. রবিউল ইসলাম (৪২) পেশায় চা বিক্রেতা। প্রায় ১৮ বছর ধরে তিনি এলাকায় চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ২০১৮ সালে তিনি নিজের সঞ্চয় ও সমিতি থেকে নেওয়া টাকায় প্রায় ০.০১৪২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। রবিউলের দাবি, আর্থিক সংকটের কারণে এতদিন সেখানে ঘর তুলতে না পারলেও জমিটি তার বৈধ ক্রয়কৃত সম্পত্তি।

রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “একই এলাকার এক শিক্ষক আমার জমি দখলের চেষ্টা করছেন। আমি বাধা দিলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়। এর ফলে আমি জেলেও গেছি।” তিনি আরও জানান, “৫ আগস্টের পর ওই শিক্ষক ও তার ভাই আমার জমিতে পিলার দিতে এলে বাধা দিলে তারা আমাকে মারধর করেন।”

স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী রবিউলকে পরিশ্রমী ও শান্ত স্বভাবের মানুষ হিসেবে চেনেন বলে জানিয়েছেন। তারা বলেন, রবিউল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ছোটখাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এবং আগে কখনো কোনো অপরাধে জড়াননি।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি মৃত আব্দুল আজিজ খানের দুই কন্যার কাছ থেকে ০.৫৭২ শতক জমি বৈধভাবে ক্রয় করেছেন। তার ভাষায়, “স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি আমার জমি দখলের চেষ্টা করছে। পরিমাপের সময় সীমানা পরিবর্তন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি বৈধভাবে আমার সম্পত্তি উদ্ধার চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।”

তিনি আরও দাবি করেন, বিরোধের বিষয়টি মীমাংসায় না আসায় তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় গিয়েছেন এবং আদালতের মাধ্যমে বিচার চেয়েছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম প্রশাসনের কাছে তার ক্রয়কৃত জমি রক্ষায় সহায়তা চেয়েছেন, অন্যদিকে শিক্ষক আবুল খায়ের তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।