আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ , আজকের সময় : রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫

আমতলীর রাজনীতিতে আলোচনায় জালাল ফকির: তৃণমূল চায় বহিষ্কার প্রত্যাহার

আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও ত্যাগী নেতা জালাল উদ্দিন ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

তারা বলেন, জালাল ফকির বহিষ্কৃত হলেও দলীয় কার্যক্রম থেকে কখনো দূরে সরে যাননি। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সামনের সারিতে ছিলেন। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রাণের এই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হলে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি দলীয় কয়েকজন নেতার ষড়যন্ত্রে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় কমিটি জালাল উদ্দিন ফকিরকে বহিষ্কার করে। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়।

এর পর থেকেই একাধিক সাংগঠনিক সভায় তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে বিক্ষোভ করে জালাল ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন।

সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ আবুল কালাম মাস্টার বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে জালাল ফকির একজন আদর্শবান নেতা। তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হলে সবাই নতুন উদ্দীপনায় দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেবে।

হলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লিমন হাওলাদার বলেন, জালাল উদ্দিন ফকির আওয়ামী লীগ আমলে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। অথচ কিছু নেতার ষড়যন্ত্রে তিনি বহিষ্কৃত হয়েছেন।

গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব ফারুক হাওলাদার বলেন, বহিষ্কৃত হয়েও জালাল ফকির বসে নেই। তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি নিয়মিত দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির উদ্দিন ফকির বলেন, আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে জালাল উদ্দিন ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানাই।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, একজন ত্যাগী নেতাকে বহিষ্কার করে রাখলে দলের ক্ষতি হয়, ঐক্য নষ্ট হয়।

উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম মামুন ভিপি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রাণ জালাল উদ্দিন ফকির। শেখ হাসিনার শাসনামলে তিনি দুই ডজন মামলার আসামি হয়েও দল থেকে বিচ্যুত হননি।

বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, জালাল উদ্দিন ফকির একজন পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা। শেখ হাসিনার জুলুমের সময়ও তিনি দলের পক্ষে কাজ করেছেন। তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আরও শক্তিশালী হবে।