আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

আমতলীতে শিক্ষকদের মানববন্ধনে ইউপি সদস্যের বাঁধা, দেখে নেয়ার হুমকি

বরগুনার আমতলীতে সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে ইউপি সদস্যের বাঁধা ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা শিক্ষক সমিতির আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওই মানববন্ধনে চরকগাছিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান ককন তালুকদার সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে বাধা দেন এবং শিক্ষকদের ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।

ঘটনার পরপরই চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির ইউপি সদস্য ককন তালুকদারের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর রাতে আমতলী উপজেলার চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম-এর কাছে উপজেলা যুবলীগ সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে বিদ্যালয়ের হোস্টেল থেকে ধরে নিয়ে ঘোপখালী এলাকার একটি কলাবাগানে বেঁধে রাতভর লোহার রড দিয়ে নির্যাতন চালায়।

এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২৮ অক্টোবর আমতলী থানায় মিজানুর রহমানকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলা করেন। এ মামলার অন্যতম আসামি তোতা তালুকদারকে শনিবার রাতে পটুয়াখালী থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে আমতলী ও তালতলী থানায় আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে।

রবিবার সকালে শিক্ষকরা ওই ঘটনার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান মিয়া, যিনি সভাপতিত্ব করেন। বক্তৃতা করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির, মোয়াজ্জেম হোসেন, শাহ আলম কবির, ও সিনিয়র শিক্ষক রেজাউল করিম প্রমুখ।

মানববন্ধনে আশ্চর্যজনকভাবে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি তোতা তালুকদারের বাবা আবুল কালাম তালুকদার উপস্থিত হয়ে তার ছেলের বিচারের দাবি জানান।

চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে ইউপি সদস্য ককন তালুকদার মানববন্ধনে বাঁধা দেন। তিনি শিক্ষকদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় আমি থানায় জিডি করেছি।

আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।