আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫ , আজকের সময় : মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

আমতলীতে ফাজিল পরীক্ষায় নয়জন পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

বরগুনার আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ফাজিল তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে নয়জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে আটজন ছাত্রী এবং একজন ছাত্র। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কেন্দ্রটিতে মোট ৭৮ জন পরীক্ষার্থী ফাজিল তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। গত ২৫ অক্টোবর থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই কেন্দ্রটিতে নানা অনিয়ম চলছিল। কেন্দ্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার ফ্যাসিলিটেটর মো. মাইনুল ইসলাম দায়িত্বে থাকলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।

শনিবার বিকেলে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান আকস্মিকভাবে কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি মেয়েদের কক্ষে পরীক্ষার্থীদের বই খুলে পরীক্ষা দিতে দেখতে পান। পরে নয়জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন তিনি।

বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীরা হলেন— জান্নাতি, তানিয়া, মাহফুজা, তানিয়া, সাদিয়া, জুলেখা, রুমা, লামিয়া ও জাকারিয়া।

ঘটনার পর মেয়েদের কক্ষের পরিদর্শক ইসলামের ইতিহাসের প্রভাষক জাকিয়া বেগমকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, মেয়েদের কক্ষ থেকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেও মেয়েদের কক্ষে প্রবেশ করতে পারি না।

কেন্দ্র সচিব ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুচ আলী হাওলাদার বলেন, ইউএনও আকস্মিক পরিদর্শনে এসে নকলের ঘটনা দেখতে পান এবং নয়জনকে বহিষ্কার করেন। তবে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ওই বিষয়টির শিক্ষিকাকে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়াটা যৌক্তিক কিনা জানতে চাইলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ইউএনওর নির্দেশে প্রভাষক জাকিয়া বেগমকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে নয়জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কক্ষ পরিদর্শক জাকিয়া বেগমের বিরুদ্ধে আদেশ অমান্য ও নকলের সহযোগিতা করার অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সচিবকে পরবর্তী পরীক্ষায় পরিবর্তন করা হবে।