পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটিকে ঘিরে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, মন্দির কমিটির সভাপতি এডভোকেট কালাচাঁদ সাহা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে পেশি শক্তির বলে একই পদে বহাল থেকে মন্দিরের কোনো আর্থিক হিসাব সাধারণ সদস্যদের কাছে উপস্থাপন করেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর দুর্গোৎসব ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য বিপুল পরিমাণ দান, অনুদান ও চাঁদা সংগ্রহ করা হলেও তার সঠিক ব্যয় ও হিসাব সাধারণ সদস্যদের সামনে কখনো উপস্থাপন করা হয়নি। এতে এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এডভোকেট কালাচাঁদ সাহা নিজেকে পুলিশের উকিল পরিচয় দিয়ে অভৈধ ভাবে প্রভাব খাটিয়ে ভয় ভীতি দেখান এবং তাঁর ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পান না।
মন্দির কমিটির স্থানীয় কয়েকজন সদস্যের দাবি, কেউ যদি মন্দিরের হিসাব জানতে চান, তবে তাঁকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া বা হুমকি দেওয়া হয়। তিনি কালাচান শাহা এই মন্দিরের কোটি টাকা আত্বস্যাৎ করেছে বর্তমানে তিনি পূ্নরায় সভাপতি হবার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে তদবির করছেন।
একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা শুধু জানতে চাই, মন্দিরের তহবিল কোথায় ও কীভাবে ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু এই প্রশ্ন তুললেই হুমকি আসে। এতে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।”
আরেকজন হিন্দু সমাজের প্রবীণ সদস্য বলেন, “একই ব্যক্তি ২০ বছর ধরে সভাপতি থাকাটা অস্বাভাবিক। আমরা চাই, মন্দির পরিচালনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং একটি নতুন, গণতান্ত্রিক গঠনমুলক কমিটি।
স্থানীয় সাধারণ হিন্দু সমাজ সম্প্রতি এক বৈঠকে সভাপতির পদত্যাগ দাবি করেছে এবং দ্রুত নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে কালাচান শাহার বিরুদ্ধে মৃদুল চন্দ সেন নামক এক সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক বরাবরে তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন তার মামা থেকে পাওয়া সম্পত্তিতে তিনি পাকা ঘর তুলতে গেলে তিনি কালাচান চাহা মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করেন। কালাচান শাহার বিরুদ্ধে এখানেই অভিযোগের শেষ নয়, তিনি পাপিয়া ইয়াসমিন পপি নামে এক নারীকে কু- প্রস্তাব দিতেন এতে ঐ নারী জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি/ সাধারন সম্পাদক বরাবরে বিচার চেয়ে আবেদেন করেন। কথা হয় মির্জাগঞ্জ নিবাসি বিকাশ দাশের সাথে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন কালাচান শাহা এমনই একজন উকিল তিনি গরিব মানুষের জমি জমা সংক্রান্ত মামলা পরিচালনা করতে আগে মামলার বাদি থেকে নিজের নামে ৪/৫/৬ শতাংশ হারে, জমি লিখে নিয়ে মামলা পরিচালনা করেন। আমাদের এখানে বিজয় মিস্তরি নামে একজন বৃদ্ধ ব্যাক্তিকে মামলায় জিতিয়ে দেবার নাম করে মির্জাগঞ্জ মাজার মোরে ৪ শতাংশ জমি কালাচান উকিল নিজের নামে লিখে নেয় যার বাজার মুল্য ২০ লাখ টাকার উপরে। জমি তো কালাচান লিখে নিল কিন্তু বিজয় মিস্তরির মামলা ১২ বছর ধরে চলতেছে বিজয় মিস্তরির কোন লাভ হয়নী। মাজখান থেকে কালাচান শাহা ২০ লাখ টাকার জমি হাতিয়ে নিয়েছে। এরকম হাজারও অভিযোগ কালাচান উকিলের নামে আছে।
অভিযোগের বিষয়ে এডভোকেট কালাচাঁদ সাহার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন আমি পটুয়াখালী জেলা ইসকনের নেতা আমি কোন মন্দিরের অর্থ আত্মসাৎ করিনাই। অর্থের হিসাব নিকাশ ক্যাশিয়ার ও সাধারন সম্পাদক জানেন। ক্যাশিয়ারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন সভাপতি হিসাব নিকাশ না দিয়ে মাসের পর মাস ঘুরাতে থাকে তিনি বর্তমানে রাজনৈতিক দেতাদের দিয়ে নানা ধরনের তদবির করাচ্ছেন যাতে মন্দিরের হিসাব নিকাশ না দিতে হয়।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে সনাতনদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ আশা করছেন, দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন ও শান্তিপূর্ণ সমাধান আসবে।
