আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক: , আপলোডের সময় : বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ , আজকের সময় : বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

থানায় অভিযোগ দিয়ে বিপাকে নারী, নারী নেত্রীর হুমকিতে পালিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ

আমতলী থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর নাসিমা বেগম নামের এক নারী এখন চরম বিপাকে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা মহিলা দলের স্বঘোষিত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা আক্তার হেপি তাকে অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। ওই নারী নেত্রীর প্রভাবে আহত নাসিমাকে চিকিৎসা নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কায় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

বুধবার বিকেলে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এক লিখিত অভিযোগে এসব কথা জানান ভুক্তভোগী নাসিমা বেগম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমতলী উপজেলার তালুকদার বাজার এলাকার নাসিমা বেগম তার বোনের ছেলে মহসিনের কাছে ৫০ হাজার টাকা এবং বোনের মেয়ে শান্তা আক্তারের কাছে প্রায় পৌনে এক ভরি স্বর্ণালংকার ধার দেন। তিন মাস পার হলেও তারা টাকা ও গহনা ফেরত দেয়নি। গত সোমবার নাসিমা টাকা ও গহনা ফেরত চাইতে গেলে মহসিন ও শান্তা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়রা আহত নাসিমাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, মহিলা দলের স্বঘোষিত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা আক্তার হেপি ও চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মো. জুয়েল আজাদ হাওলাদার মহসিনের পক্ষ নিয়ে নাসিমাকে চিকিৎসা নিতে বাধা দেন। এতে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেননি। পরে তিনি আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

নাসিমা বেগম বলেন, আমি থানায় অভিযোগ করার পর থেকে তারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ তুলে নিতে। অভিযোগ না তুললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে এখন আমি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে মাহমুদা আক্তার হেপি বলেন, নাসিমা ও মহসিন আমার এলাকার মানুষ। তাদের মধ্যে ঝামেলা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি মাত্র। হুমকির অভিযোগ সত্য নয়।

আমতলী উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক মীরা খান বলেন, মাহমুদা আক্তার হেপি মহিলা দলের সক্রিয় কর্মী হলেও দলের কোনো পদে নেই। অনেকেই নিজেরাই স্বঘোষিত পদ-পদবি নিয়ে ঘোরে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তবে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি জানতাম না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।