ভারতের বড় শহরগুলোতে ডেলটাকে পেছনে ফেলে আধিপত্য বিস্তার করছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। ফলে একদিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে সাত মাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে এক লাখ ১৭ হাজার ১০০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি।
রয়টার্স জানিয়েছে, গত বছর জুনের পর একদিনে এত বেশি রোগী আর ভারতে শনাক্ত হয়নি। গত সাত মাসের মধ্যে আর কখনও দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়ায়নি।
ডিসেম্বর থেকে আবার সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় দৈনিক শনাক্ত রোগী ১০ হাজারে পৌঁছানোর মাত্র আট দিনের মাথায় তা লাখ ছাড়িয়ে গেল।
১৩০ কোটি মানুষের এই দেশে মহামারির দুই বছরে সব মিলিয়ে তিন কোটি ৫২ লাখের বেশি মানুষের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর সরকারের হিসাবে এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে মারা গেছেন আরও ৩০২ জন। তাতে সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে চার লাখ ৮৩ হাজারে।
নভেম্বরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন পুরো বিশ্বেই আতঙ্ক তৈরি করেছে। ভারতের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ২৭টিতেই ছড়িয়ে পড়েছে এ ধরন।
কোভিড রোগীদের শরীর থেকে ভাইরাসের নমুনা নিয়ে এ পর্যন্ত যেসব জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে, তার মধ্যে তিন হাজার সাতজনের মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এর মধ্যে কেবল বৃহস্পতিবারই ৩৭৭ জনের ক্ষেত্রে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার তথ্য এসেছে। সবচেয়ে বেশি ৮৭৬ জন ওমিক্রনের রোগী পাওয়া গেছে মহারাষ্ট্রে, রাজধানী দিল্লিতে ৪৬৫ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
ভারতের কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ-আইসিএমআর বলেছে, করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরনকে টেক্কা দিয়ে ওমিক্রনই এখন প্রাধান্য বিস্তার করছে ভারতজুড়ে।
সংক্রমণের এবারের বিস্তারে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় থাকা মহারাষ্ট্রে গত এক দিনেই ৩৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। কেবল মুম্বাই শহরেই দৈনিক শনাক্ত রোগী ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে লকডাউন জারির কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।