পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন এর মির্জাগঞ্জ গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে লোকজন কর্তৃক বাড়িঘর দখল ও সৎ ছেলেকে মারধর করে শুক্রবার(২১নভেম্বর) ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ।
মোঃ ইমরান হাং এর অভিযোগে বলেন, আমার বাবার মৃত্যু হয় ১১/৭/২০২৫ ইং তারিখ।
তার সৎ মা মোসাঃ খাদিজা বেগম কে ১২/২/২০১৪ ইং সালে তার বাবা তাকে তালাক দেন , প্রায় ১১ বছর পরে তিনি ও আমার সৎ ভাই মোঃ রেজাউল শুক্রবার(২১ নভেম্বর) দুপুরে আমার ঘর দখল এবং আমাকে মারধর করে বের করে দেয়।
তিনি আরো বলেন, আমার বাবা দ্বিতীয় বিবাহ করেন মোঃ আমির হাং মেয়ে মোসাঃ খাদিজা বেগম কে নিয়ে ঘর সংসার করা কালে ১টি ছেলে সন্তান ও ১ টি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এমতাবস্থায় পারিবারিক ও সাংসারিক বিষয় নিয়ে খাদিজা
সাথে আনছার হাং এর দ্বন্দ্ব কলহ ও মনোমালিন্য তার সৃষ্টি হলে খাদিজা বিভিন্নভাবে হয়রানী করাসহ অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন ও বসতবাড়ি দখলের পাঁয়তারা চালাইতে থাকিলে। আনছার বাধ্য হয়ে গত ১২/২/২০১৪ ইং সালে খাদিজার সাথে তালাক হয়।
এদিকে, একই বাড়ির কিছু লোকজন সাথে নিয়ে
আনছার এর মৃত্যুর পরে, প্রায় ১১ বছরে আগের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী খাদিজা এসে আনছার হাং এর বসতবাড়ি দখল করেন।
ঘটনাস্থানে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানা যায়, গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুর আনুমানিক একটার সময় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী খাদিজা বেগম তার সৎ ছেলে মোঃ ইমরানকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বললে। খাদিজা উল্লেখিত বিবাদীগণ মোঃ ইমরানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতারী ভাবে চড় থাপ্পড় কিল ঘুসি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনাদায়ক ফোলা জখম করে। মোঃ ইমরান এর আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকগুন এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে। এ সময় বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ আর কোনদিন খাদিজাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলে আবারো মারপিট খুন জখমসহ ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকি দেয় খাদিজা ও তার ছেরে রেজাউল । পরে খাদিজার সৎ ছেলে ইমরান কে নিজ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়,তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী খাদিজার লোকজন।মোঃ ইমরান স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করে। সে এখন নিরুপায় হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিচারের আশায়।
আরো জানা, যায় জব্বার হাওলাদার ও আমিরোন
জোড় করে ইমরানের ৮ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে। এবং এরাই ষড়যন্ত্র করে তার সৎ মাকে ঘরে উঠিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী খাদিজা বলেন,স্বামীর মৃত্যুর পরে আমার ছেলে মোঃ রেজাউল হাং আমাকে প্রায় ১১ বছর পরে এই বাড়িতে নিয়ে এসেছে আমি ইচ্ছে করে আসিনি।