সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক দলে সাংবাদিকদের ভূমিকা: দলীয় পদ নাকি পেশাদারিত্ব: আহমেদ আবু জাফর সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় উচ্চ লাফে ১ম হলেন হরিরামপুরের জয় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ঝালকাঠির নিহত ১০ পরিবারকে জেলা পরিষদের ২০ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান পটুয়াখালীতে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে চলছে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ মুরাদনগরে পুটি মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবেদন ১৮ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৭৯১ বার পঠিত

ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়া ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দুইমাস সময় মঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেনু বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং গুম সংক্রান্ত যে অপরাধ, সেগুলোর তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে আমরা সময় চেয়েছি। আদালত দুই মাস সময় দিয়েছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে ও পরিকল্পনায় গোপন কারাগারে নিষ্ঠুরতম পন্থায় বছরের পর বছর নির্যাতন হত্যা এমনকি নদীতে লাশ ফেলে দিয়ে যে ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সে ব্যাপারে গুম কমিশনের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে এর কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়েছে এবং এসব অপরাধের সাথে শেখ হাসিনা সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একইভাবে মন্ত্রী পরিষদের কিছু সদস্য আছেন যারা পলাতক কিংবা গ্রেফতার অবস্থায় আছেন অনেকেই এই গুমের ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন তা তো কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে। তদন্ত এখনো চলমান, তবে আমাদের কাছে যা প্রতিবেদন আছে  আমরা আদালতে জমা দেব।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘পাশাপাশি বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস, আদালতের পরোয়ানা কার্যকর ও ভারতের সাথে অপরাধী বহিঃসমর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।’

মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলে, ‘এই মামলার ব্যাপকতা অনেক এবং এর বিস্তৃতি সারা দেশ জুড়ে।  ঠিক কতদিনের মধ্যে বিচার শেষ হবে সেটা বলা কঠিন, তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলাগুলোর বিচার নিষ্পত্তি করতে যেহেতু আহত-নিহত কিংবা গুমের শিকার প্রত্যেকের আশা-আকাঙ্ক্ষা এ মামলা সাথে জড়িয়ে আছে।’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..