বরগুনার বেতাগী উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ মামুন শিকদারের ও যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মোল্লার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেল পাঁচটায় বরগুনা পৌর মার্কেটের সামনে বরগুনা জেলা গনঅধিকার পরিষদের ব্যানারে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হুমায়ুন কবির মল্লিকের নির্বাচনীয় অফিসে হামলা করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবিএম গোলাম কবির ও তার সমর্থকরা। সেই ঘটনায় দীর্ঘ ৯ বছর পর গত মাসের ২৭ তারিখ মামলা দয়া করেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর ছোট ভাই মো: রিয়াজুল কবির বাবু।
ওই মামলায় বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তৎকালীন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এবিএম গোলাম কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান ফোরকানসহ ২৬ জনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞতা রাখা হয়েছে আরো দুই শতাধিক আওয়ামী লীগ এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের।
কিন্তু এই মামলায় রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য বেতাগী উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক মোঃ মামুন শিকদার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক লিটন মোল্লাকে আসামী করা হয়। হয়রানি মূলক এই মামলা থেকে বেতাগী উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানান মানববন্ধনে আসা গনঅধিকার পরিষদের নেতা কর্মীরা।
বরগুনা জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মোঃ জামাল শিকদার বলেন, আমাদের বেতাগী উপজেলা গণধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মামুন শিকদার ও যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মোল্লাকে হয়রানি মূলক মামলা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অব্যাহতি দিতে হবে।
বরগুনা জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব, মো: শাকিল বলেন, সারাদেশে গণধিকার পরিষদ মানুষের কাছে আস্থাশীল হয়ে উঠছে। তারি ধারাবাহিকতায় বেতাগীতেও গণঅধিকার পরিষদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই বিএনপি’র নেতাকর্মীরা গণধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে।
আমরা এই হয়রানি মূলক মামলা থেকে বেতাগী উপজেলা গণধিকার পরিষদের আহবায়ক মোঃ মামুন শিকদার ও যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মোল্লার নাম দ্রুত বাদ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। আর তা না হলে বরগুনায় দূর্বর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।