শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা পশু নয়, কোরবানি হোক অহংকার হিংসা অবিচারের : আসিফ মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা জন্মদিনে মৃত্যু, বিবাহবার্ষিকীতে দাফন; এএক হৃদয়বিদারক বিদায়ের গল্প ছোটদের বড় ভাবনা: রাজধানীর পরিবেশ দূষণ নিয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উদ্রেক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংগঠিত মিথ্যাচারের খতিয়ান প্রকাশ বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য: সুপ্রিম কোর্ট আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল বাংলাদেশি হাজীরা

বেতাগীতে ৪ শিক্ষার্থীকে স্কেল দিয়ে পিটিয়ে আহত

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩
  • ৫৮৯১ বার পঠিত

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ

বরগুনার বেতাগীতে ৪ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা চলাকালে স্টীলের স্কেল দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়েছে। এরপর পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ( কৃষি) মো. আল মামুন এর বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ৪ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। একজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়াও অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা শেষে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন অন্য ৩ জন শিক্ষার্থী। তবে ওই স্কুলের শিক্ষকের দাবি পরীক্ষা চলাকালে তারা দেখাদেখি করে লেখালেখি করছিলো তাই তাদের পিটিয়েছেন। এদিকে বেতাগী উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

জানা যায়, বেতাগী উপজেলার পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত মঙ্গলবার (৬ জুন) ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা চলাকালে ফারজানার প্রশ্নপত্র মাটিতে পড়ে যাওয়ায় অন্য একজন শিক্ষার্থী সেই প্রশ্ন উঠিয়ে দেওয়ার সময় ২টি প্রশ্ন একজন শিক্ষার্থীর হাতে দেখে। পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা সহকারি শিক্ষক আল মামুন এসে চার শিক্ষার্থীর উত্তরপত্রের খাতা টেনে নেয় এবং স্কেল দিয়ে হাতে ও পিঠে বেদর পিটাতে থাকেন। এতে শিক্ষার্থী মিমের হাতের দু’স্থান থেকে ফেটে যায় ও ফারজানার পিঠে স্কেলের একাধিক দাগ হয়ে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পরীক্ষার কক্ষ থেকে বের করে দেয়। এই ঘটনার কিছু পরে সহকারি শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) মো. আল আমিন এসে,শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদান করতে থাকেন। সহকারি শিক্ষক আল আমিনের ভাষ্য অনুযায়ি, এই বিষয় বাড়িতে গিয়ে যদি কারো কাছে কিছু বলো তবে পরবর্তি পরিক্ষাও দিতে দিবো না। দরকার হলে আমি তোদের ঔষধ কিনে দিবো।

কিন্তু বাড়িতে এসে ফারজানা অসুস্থ হয়ে পরে তাকে বেতাগী হাসপাতালে নিয়ে যান তার বাবা। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতরা হলেন ফারজানা ইসলাম, মো. শাওন, মোসা. মিম আক্তার, মো. মুসাসহ ৫-৬ জন। তারা সবাই নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবকরা জানান, ‘মেয়েদের শরীরে এমনভাবে কোনো শিক্ষক আঘাত করে জানা ছিল না, তাছাড়াও নবম শ্রেণির ছাত্রীরা তো ছোট না যে চাইলে তাদের শরীরে হাত তোলা যায় বা শরীর ধরে হল থেকে বের করে দেওয়া যায়।

নবম শ্রেণির ছাত্র মো. মুসা বলেন, আমি কিছুই করিনি তার পরেও আমাকে ৪-৫ টি স্কেল দিয়ে পিটান দিয়েছে। এলাকার একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে যানা যায়। সহকারি শিক্ষক আল আমিন গাজী, কৃষি শিক্ষক মো. আল মামুন এর অপসরণের দাবি জানাচ্ছি। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আল মামুন বলেন তারা পরীক্ষার হলে বসে দুষ্টামী করেছে তাই তাদের আমি স্কেল দিয়ে কয়টি পিটান দিয়েছি।

পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেওয়া বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি বলেন আপনার সাথে পরে যোগাযোগ করবো।

বেতাগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুর রহমান বলেন, মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়েছি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, আপনার মাধ্যমে তথ্য পেলাম তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..