রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা পশু নয়, কোরবানি হোক অহংকার হিংসা অবিচারের : আসিফ মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা জন্মদিনে মৃত্যু, বিবাহবার্ষিকীতে দাফন; এএক হৃদয়বিদারক বিদায়ের গল্প ছোটদের বড় ভাবনা: রাজধানীর পরিবেশ দূষণ নিয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উদ্রেক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংগঠিত মিথ্যাচারের খতিয়ান প্রকাশ বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য: সুপ্রিম কোর্ট আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল বাংলাদেশি হাজীরা

মুরাদনগরে ভুয়া দাতা সেজে স্কুল কমিটির সভাপতি!

রায়হান চৌধুরী (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩
  • ৫৮৯৬ বার পঠিত

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের সাহেদাগোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রথমে ভুয়া দাতা ও পরে সভাপতি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আবদুল কুদ্দুস নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। সে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল ব্যাপারীর ছেলে। বিতর্কিত ওই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালে একমাত্র জমিদাতা হলেন, মৃত জুলফু মিয়া সওদাগর। মৃত জুলফু মিয়া সওদাগরের ৭জন ওয়ারিশের মধ্যে ৬জন জীবিত রয়েছে। তাদেরকে বাদ দিয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল ব্যাপারীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুসকে প্রথমে ভুয়া দাতা সদস্য বানানো হয়। পরে তাকে সভাপতি করে অনুমাদনের জন্য কমিটি জমা দিলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১৯ আইন অমান্য করায় সাবেক সভাপতি আলী আজগর ওই অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারী আলী আজগর বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নীতিমালা লঙ্গন করে আব্দুল কুদ্দুসকে প্রথমে দাতা সদস্য ও পরে সভাপতি বানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, কাউকে না জানিয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের এ কমিটির অন্যান্য পদ পদবিতে রাখা হয়েছে।

সাহেদাগোপ গ্রামের সমাজ সেবক জালাল উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন কমিটি গঠনে অনিয়মের তোপের মুখে গত ৫ বছর পুর্বে এ বিদ্যালয় থেকে শ্রীকাইল বিদ্যালয়ে বদলি হন। তিনি শ্রীকাইল স্কুলেও কোন কমিটি গঠন করতে পারেনি। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পুনরায় সাহেদাগোপ স্কুলে এসে তিনি নীতিমালা অমান্য করে আবারো গোপনে এক তরফা কমিটি গঠন করেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্কুল কমিটি নিয়ে এমন বিতর্কের সৃষ্টি হবে তা’ আমার জানা ছিল না। এখন সে কমিটি বাদ দিয়ে নীতিমালা মেনে নতুন কমিটি করা হবে।

এ বিষয়ে বিতর্কিত কমিটির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বাপ-চাচারা মিলে স্কুলে জমি দান করেছেন। তবে তিনি দানকৃত জমির কোন প্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভুইয়া জনী বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..