শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জাতিসংঘ-বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নে যৌথ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে: আইন উপদেষ্টা তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ নান্দাইল উপজেলা বিএনপি’র নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে শুভ ও সা’দ ড্রেনবিহীন রাস্তা, বৃষ্টি হলেই পানি জমে বিয়ানীবাজার সাভারের আশুলিয়ায় নিখোঁজ দুই মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ মিলল পুকুরে মির্জাগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গণহত্যায়’ শহীদ মাহফুজুর রহমানের কবর খননে বাধা, ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কর্মকর্তা

অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারে দূতদের সক্রিয় হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৮৮০ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্য ও রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশের স্নাতক বজায় রাখতে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারে বাংলাদেশি দূতদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি আপনাদেরকে (কূটনীতিকদের) অর্থনৈতিক কূটনীতিকে শক্তিশালী করতে সক্রিয় হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী সোমবার সন্ধ্যায় কাতারে তার বাসভবনে আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে এ নির্দেশনা দেন। সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কূটনীতিকরা যোগ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্নাতক অর্জন করতে যাচ্ছে। এজন্য সেসব দেশের প্রতি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, যেখানে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে লাভবান হতে পারে।

তিনি বলেন, আপনাকে চোখ খোলা রেখে সব দেশের সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতা করতে হবে। তাহলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা টিকে থাকতে পারব। আরও এগিয়ে যেতে ও অবশেষে উন্নত দেশ হিসেবে স্নাতক হতে পারব।

শেখ হাসিনা বলেন, একসময় কূটনীতি একটি রাজনৈতিক বিষয় ছিল। কিন্তু এখন এটি অর্থনৈতিক বিষয়, মানে অর্থনৈতিক কূটনীতি। তাই যারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন তাদেরকে সেই দেশগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে যেখানে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারি। একই সঙ্গে যেসব দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে এবং যে দেশগুলো থেকে আমরা কম ও ন্যায্য দামে পণ্য আমদানি করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্যবসা ও বাণিজ্য আরও বাড়াতে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেসব দেশে আমাদের পণ্যের চাহিদা আছে এবং যেখানে বিপণনের সুযোগ আছে সেসব দেশকে চিহ্নিত করুন।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বাংলাদেশের নীতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’। অন্তত আমি দাবি করতে পারি যে, বাংলাদেশ সঠিকভাবে এই নীতি অনুসরণ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে। কিন্তু যখন কোনো অন্যায় দেখা যাবে, তখন বাংলাদেশ অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার কথা বলবে, যা মিয়ানমারকে বলা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘যখন মিয়ানমারে ঘটনাটি ঘটেছিল, তখন আমরা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াইনি। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের পঞ্চম স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী এখন কাতার সফরে রয়েছেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে তিনি গত শনিবার কাতারে পৌঁছেন। বুধবার ঢাকার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..