কুমিল্লা থেকে ভারতে পাচারকালে চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯টি গুইসাপ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় গুইসাপগুলোকে রাজেশপুর ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়। জানা গেছে, গুইসাপের চামড়া অতিমূল্যবান হওয়ার কারণে বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীটি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের প্রবণতা রয়েছে।
রাজেশপুর ইকো পার্কের বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সেনেরখাল এলাকা থেকে বিজিবি চৌদ্দগ্রাম বিওপির সদস্যরা শুক্রবার বিকেলে এই গুইসাপগুলো পাচার হবার সময় উদ্ধার করে। পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে বস্তাবন্দী প্রাণীগুলো ফেলে পালিয়ে যায়। দু’টি বস্তায় তার দিয়ে হাত পা মুখ বেঁধে তাদেরকে ভারতে পাচার করা হচ্ছিলো। বিজিবি প্রাণীগুলো উদ্ধারের পর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে গুইসাপগুলো রাজেশপুর ইকো পার্কে নিয়ে এসে অবমুক্ত করেন।
তিনি আরোও জানান, লোহার তার দিয়ে বেঁধে এসব নিরীহ গুইসাপগুলোকে পাচারকারীরা যেভাবে বস্তাবন্দী করে নিয়ে যাচ্ছিলো, এতগুলো প্রানীর মৃত্যুও হতে পারতো। আর গুইসাপ আমাদের প্রাকৃতিক খাদ্য শৃঙ্খলে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে, এসব প্রাণী রক্ষা করা আমাদের নিজেরদের দায়িত্ব। রাজেশপুরের বনে অবমুক্ত করার পর তারা আবারো প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, বিজিবি প্রাণীগুলো উদ্ধার করার পর এই গুইসাপ গুলোর কথা আমি জানতে পারি। পরে বন কর্মকর্তাকে প্রাণীগুলো রক্ষার নির্দেশ দিলে তারা রাজেশপুর ইকোপার্কে অবমুক্ত করেন।