সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মঞ্চ প্রস্তুত, কিন্তু এনসিপির নেতারা মঞ্চে না উঠে পাশ দিয়ে চলে যাওয়ায় ক্ষোভ! মব দমন না করে নির্বাচন করলে দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না: জিএম কাদের আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু মৃধার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন পানি আনতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় ৬ শিশুসহ নিহত ১০ নেপালকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা ঢাবির জগন্নাথ হলের ছাদ থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু দুপুরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধান উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জোরপুর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা যুবদল নেতার সরকার দেশে মবতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, জাপা মহাসচিব

নয়াদিল্লি থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৮৪৯ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বিকেলে নয়াদিল্লি থেকে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে, নয়াদিল্লির স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ০৮ মিনিটে (আইএসটি) ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন।
সেদিনই বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
তিনটি সমঝোতা স্মারক হল: ‘কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, ‘সাংস্কৃতিক বিনিময়’ এবং ‘দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদন সহজীকরণ’।
জি-২০ সম্মেলনে ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যত’ বিষয়ে পৃথক দুটি ভাষণ দেন।
‘এক পৃথিবী’ এবং ‘এক পরিবার’ অধিবেশন চলাকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারীর পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা তুলে ধরেন।
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন।
১০ সেপ্টেম্বর, জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সাথে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেন। সম্মেলনের শেষ দিনে ‘জি-২০ নয়াদিল্লি নেতাদের ঘোষণা’ গৃহীত হয়।
এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং এই সভাপতিত্বের মেয়াদে ভারত বাংলাদেশ সহ মোট নয়টি দেশকে সমস্ত জি ২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..