রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীতে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে চলছে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ মুরাদনগরে পুটি মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে সব দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে : আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৭৭৩ বার পঠিত

গণঅভ্যুত্থানে সব দলের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ বিষয়ে রাজনৈতিকদলগুলো ঐকমত্যে পোঁছেছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘সবার অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জুলাই ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে। এতে সময় আরেকটু বেশি লাগবে, তবে অহেতুক কালক্ষেপণ যেন না হয়, সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি আরও জানান, ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরির একটি কর্মপরিকল্পনা করা হবে।

আসিফ নজরুল বলেছেন, মতবিনিময়ে যারা অংশ নিয়েছেন তারা বলেছেন ঐকমত্য পোষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত করার জন্য সময় লাগুক, তাড়াহুড়া যেন না করা হয়, আবার অযথা কালক্ষেপণ যেন না করা হয়। কয়েকজন প্রস্তাব করেছেন এই লক্ষ্যে সংগঠিতভাবে আলোচনা করার জন্য যেন একটি কমিটি গঠন করা হয়, সেই প্রস্তাবও এসেছে। তিনি বলেন, ‘সব প্রস্তাব অ্যাক্টিভলি বিবেচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘ঘোষণাপত্র নিয়ে কতটা সময় নেওয়া যায়, সেটি আলোচনা করা হয়েছে। তবে চেষ্টা করা হয়েছে যেন অযথা কালবিলম্ব না হয়, সময়ক্ষেপণ না হয়। সবাই একমত হয়েছেন যে, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও নিবিড় আলোচনার করে এ ধরনের একটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত হওয়া উচিত। সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই প্রক্রিয়ায় আমরা সফল হবো। গণঅভ্যুত্থানকালে অটুট জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছি সেই ঐক্যের ন্যারেটিভ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রণয়ন করতে পারব সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে সভা শেষ হয়েছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনও রকম দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। শুধুমাত্র কী প্রক্রিয়ায় আলোচনা করা হবে, সেটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত এসেছে। বিভিন্ন মতামতকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা কোথাও অনৈক্যের সুর দেখি না। বরং সবাই মিলে যেন কাজ করা যায়, সবার মতামত যাতে প্রতিফলিত হয়, আমরা মনে করি এটি ঐক্যেকে আরও প্রতি সুদৃঢ় করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে, কমিটি হতে পারে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে। সেগুলোর বিষয় আমরা অ্যাক্টিভলি বিবেচনা করে ওনাদের পরামর্শের ভিত্তিতে একটা কর্মকৌশল ঠিক করব।’

বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিকদল ও অংশীজনদের মধ্যে ১৭ জন বৈঠকে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..