শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র তাড়াইলে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহে যুবকের কারাদন্ড

আমাদের মূল লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করা : প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৭৬২ বার পঠিত

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর চাপ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে এনে বিচার করা। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর তাকে ফেরত পাঠাতে চাপ তৈরি হচ্ছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যা করা দরকার, অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু করছে।

শফিকুল আলম বলেন, কিছু দিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে-তাতে স্পষ্ট কী ধরনের অপরাধ উনি করেছেন। তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং কিছু কিছু মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনের পর প্রচুর চাপ তৈরি হচ্ছে। এই চাপের ফলাফল নিয়ে ইন্ডিয়া টু ডে একটা সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫৫ শতাংশ চায় তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে, আবার কিছু সংখ্যক চাচ্ছে তাকে অন্য দেশে পাঠাতে। মাত্র ১৬-১৭ শতাংশ চাচ্ছে উনি ইন্ডিয়াতে থাকুক। তিনি গত ১৫-১৬ বছর যে কতটা ভয়ানক একটি একনায়কতন্ত্র চালিয়েছেন- তা কিন্তু স্পষ্টভাবে এসেছে জাতিসংঘের ১২৭ পাতার প্রতিবেদনে।

প্রেস সচিব বলেন, আমার মনে হয়, ইউএন রিপোর্টের পর চাপ আরও হবে। আমরা তো আমাদের মতো প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারতকে জানিয়েছি। আমাদের চাপ অব্যাহত থাকবে। আমরা চাইবো তাকে সশরীরে হাজির করে তার বিচার করাতে। বাংলাদেশের মানুষ তার ট্রায়াল দেখতে চায়। তাকে আইনের আওতায় আনা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তার জন্য যত কাজ করা প্রয়োজন, তার সবগুলো আমরা করছি।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসার বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আমরা বারবার বলেছি। বাংলাদেশের জনগণ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আমাদের একটাই কথা- আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী ও সমর্থক, যারা জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত বা তারও আগে গুম-খুনে যারা জড়িত, যারা ম্যাসাকারে জড়িত, দুর্নীতিতে জড়িত, সবার বিচার হবে। এটা অব্যশই হবে। তারপর বাংলাদেশের মানুষ, রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা আওয়ামী লীগের বিষয়ে কী ভাবছেন বা এটার ভবিষ্যৎ কী হবে।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..