বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আড়াইহাজারে সামাজিক নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ॥ সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন তাড়াইল প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্চিত: থানায় অভিযোগ সাভারে ব্যাক টু ব্যাক ছিনতাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে তাড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল

আমাদের মূল লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করা : প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৭৬০ বার পঠিত

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর চাপ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে এনে বিচার করা। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর তাকে ফেরত পাঠাতে চাপ তৈরি হচ্ছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যা করা দরকার, অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু করছে।

শফিকুল আলম বলেন, কিছু দিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে-তাতে স্পষ্ট কী ধরনের অপরাধ উনি করেছেন। তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং কিছু কিছু মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনের পর প্রচুর চাপ তৈরি হচ্ছে। এই চাপের ফলাফল নিয়ে ইন্ডিয়া টু ডে একটা সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫৫ শতাংশ চায় তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে, আবার কিছু সংখ্যক চাচ্ছে তাকে অন্য দেশে পাঠাতে। মাত্র ১৬-১৭ শতাংশ চাচ্ছে উনি ইন্ডিয়াতে থাকুক। তিনি গত ১৫-১৬ বছর যে কতটা ভয়ানক একটি একনায়কতন্ত্র চালিয়েছেন- তা কিন্তু স্পষ্টভাবে এসেছে জাতিসংঘের ১২৭ পাতার প্রতিবেদনে।

প্রেস সচিব বলেন, আমার মনে হয়, ইউএন রিপোর্টের পর চাপ আরও হবে। আমরা তো আমাদের মতো প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারতকে জানিয়েছি। আমাদের চাপ অব্যাহত থাকবে। আমরা চাইবো তাকে সশরীরে হাজির করে তার বিচার করাতে। বাংলাদেশের মানুষ তার ট্রায়াল দেখতে চায়। তাকে আইনের আওতায় আনা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তার জন্য যত কাজ করা প্রয়োজন, তার সবগুলো আমরা করছি।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসার বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আমরা বারবার বলেছি। বাংলাদেশের জনগণ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আমাদের একটাই কথা- আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী ও সমর্থক, যারা জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত বা তারও আগে গুম-খুনে যারা জড়িত, যারা ম্যাসাকারে জড়িত, দুর্নীতিতে জড়িত, সবার বিচার হবে। এটা অব্যশই হবে। তারপর বাংলাদেশের মানুষ, রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা আওয়ামী লীগের বিষয়ে কী ভাবছেন বা এটার ভবিষ্যৎ কী হবে।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..