জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে শহীদ জাহানারা ইমাম হলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়ী হয়েছেন রিজওয়ানা বুশরা। তিনি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের ছাত্রী এবং বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আইনজীবী মো. মহসিন হাওলাদারের মেয়ে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বুশরা ১৫ নম্বর ব্যালট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ১৬৬ ভোট পেয়ে জিএস নির্বাচিত হন। ফলাফল ঘোষণা করেন হলের রিটার্নিং অফিসার নাসরিন খাতুন।
রিজওয়ানা বুশরা ২০১৫ সালে আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১৭ সালে আমতলী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার এ সাফল্যে গর্বিত আমতলীর মানুষ।
জিএস নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় বুশরা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর হল আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। সারাজীবন হল থেকে শুধু নিয়েই গেছি, এবার জাকসুর মাধ্যমে হলের জন্য কিছু করার সুযোগ পেলাম। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে হলের সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাব। জাহানারা ইমাম হলকে আমরা স্বপ্নের বাড়ি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তার বাবা সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া বলেন, সন্তানের সফলতায় বাবা-মায়ের সব চেয়ে বড় আনন্দ। মেয়ের এমন অর্জনে আনন্দে বুকটা ভরে গেল। সকলে দোয়া করবেন, আমার মেয়ে যেন দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে পারে।
আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম কবির বলেন, আমার বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিএস নির্বাচিত হয়েছেন—এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। তার এমন সাফল্যে আমরা গর্বিত।
আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের কেউ জাকসুর কোনো পদে আসীন হতে পারেনি। এ প্রথম আমতলীর বুশরা জাহানারা ইমাম হলের জিএস নির্বাচিত হয়েছেন। এটি আমতলী তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের গর্বের বিষয়।