বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুজিবনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৪ শিশু নান্দাইলে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়ে হতদরিদ্রদের মাঝে ইউএনওর ভিজিএফ চাল বিতরণ ভোটাধিকার চাইলে সেটি যদি ‘অপরাধ’ হয়, তবে বিএনপি সেই ‘অপরাধ’ বারবার করবে: ড. কাজী মনির গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্টা স্থিতিশীল বাজারে স্বস্তিতে ক্রেতারা : আসিফ মাহমুদ সমৃদ্ধির পথে যেতে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা মুজিবনগরে ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার হবে জাপান, বাড়বে সে দেশের বিনিয়োগও : প্রেস সচিব এক নজরে বাংলাদেশের ৫৩টি জাতীয় বাজেট

সাগরে ভাসমান শতাধিক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করল ইন্দোনেশীয়ার নৌবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৬৩৩৩ বার পঠিত

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে ঝড়ো আবহাওয়ার মধ্যে সাগরে একটি ডুবন্ত নৌকা থেকে শতাধিক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে দেশটির নৌবাহিনী। উদ্ধারকৃত এই রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায়ার মধ্যে শুক্রবার ভোরের দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিভাগের (ইউএনএইচসিআর) ইন্দোনেশিয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা ওকতিনা হাফানতি রয়টার্সকে জানান, ডুবন্ত সেই কাঠের নৌকাটিতে ছিলেন মোট ১০৫ জন রোহিঙ্গা, যাদের মধ্যে ৫০ জন নারী ও ৪৭ জন শিশু। এই নারীদের মধ্যে কয়েকজন অন্তস্বত্ত্বাও রয়েছেন।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর তাদের সবাইকে ১০ থেকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন হাফানতি।

মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় রওনা হয়েছিলেন এই রোহিঙ্গারা। টানা ২৮ দিন সমুদ্রযাত্রার পর একসময় বিকল হয়ে যায় ইঞ্জিন, নৌকার ফুটো দিয়ে পানিও উঠতে শুরু করে।

এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার তাদেরকে প্রথম দেখতে পায় ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের একটি জেলে নৌকা। তারপর সরকার বরাবর এই সংবাদ পাঠানো হয়।

প্রথম দিকে ইন্দোনেশিয়ার সরকার তাদের গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিল; কিন্তু জাতিসংঘের শরণার্থী বিভাগ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশালের তদবিরে একসময় মত পরিবর্তন করে সরকার।

দু’সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে এই রোহিঙ্গাদের আচেহ প্রদেশের মেদান ও সুরাবায়াতে রাখা হবে বালে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা।

মিয়ানমারে ব্যাপক নিপীড়ণের শিকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের কাছে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ নামে পরিচিত। প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত, অর্থাৎ সাগর যখন শান্ত থাকে সে সময় শত শত রোহিঙ্গা এসব দেশে পৌঁছানোর জন্য সাগর পাড়ি দেন।

চরম ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর এই যাত্রাপথে দুর্ঘটনা ও সাগরে ডুবে মৃত্যুও এ সময়ে বেশ নিয়মিত ব্যাপার।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..