বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মোরেলগঞ্জে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ অনলাইনে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্য সেজে প্রতারণা মূলহোতা গ্রেফতার রাস্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সুজন প্রস্তাবিত জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন চাই তাড়াইলে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত বেতাগীতে জামায়াত ইসলামের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত আমতলীতে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে সক্রিয় নীরব ভোট বিল্পবের মাধ্যমে নান্দাইলের মানুষ ধানের শীষে বিজয় চিনিয়ে আনবে: ইয়াসের খান চৌধুরী দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষিবিদ সীডের অবদান অপরিসীম কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন মোঃ ইকরাম হোসাইন তাড়াইলের হাতপাখার এমপি প্রার্থী আলমগীর হোসাইন তালুকদারের পথসভা

সাগরে ভাসমান শতাধিক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করল ইন্দোনেশীয়ার নৌবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৬৪০৩ বার পঠিত

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে ঝড়ো আবহাওয়ার মধ্যে সাগরে একটি ডুবন্ত নৌকা থেকে শতাধিক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে দেশটির নৌবাহিনী। উদ্ধারকৃত এই রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায়ার মধ্যে শুক্রবার ভোরের দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিভাগের (ইউএনএইচসিআর) ইন্দোনেশিয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা ওকতিনা হাফানতি রয়টার্সকে জানান, ডুবন্ত সেই কাঠের নৌকাটিতে ছিলেন মোট ১০৫ জন রোহিঙ্গা, যাদের মধ্যে ৫০ জন নারী ও ৪৭ জন শিশু। এই নারীদের মধ্যে কয়েকজন অন্তস্বত্ত্বাও রয়েছেন।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর তাদের সবাইকে ১০ থেকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন হাফানতি।

মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় রওনা হয়েছিলেন এই রোহিঙ্গারা। টানা ২৮ দিন সমুদ্রযাত্রার পর একসময় বিকল হয়ে যায় ইঞ্জিন, নৌকার ফুটো দিয়ে পানিও উঠতে শুরু করে।

এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার তাদেরকে প্রথম দেখতে পায় ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের একটি জেলে নৌকা। তারপর সরকার বরাবর এই সংবাদ পাঠানো হয়।

প্রথম দিকে ইন্দোনেশিয়ার সরকার তাদের গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিল; কিন্তু জাতিসংঘের শরণার্থী বিভাগ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশালের তদবিরে একসময় মত পরিবর্তন করে সরকার।

দু’সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে এই রোহিঙ্গাদের আচেহ প্রদেশের মেদান ও সুরাবায়াতে রাখা হবে বালে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা।

মিয়ানমারে ব্যাপক নিপীড়ণের শিকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের কাছে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ নামে পরিচিত। প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত, অর্থাৎ সাগর যখন শান্ত থাকে সে সময় শত শত রোহিঙ্গা এসব দেশে পৌঁছানোর জন্য সাগর পাড়ি দেন।

চরম ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর এই যাত্রাপথে দুর্ঘটনা ও সাগরে ডুবে মৃত্যুও এ সময়ে বেশ নিয়মিত ব্যাপার।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..