রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
৪০ ঘন্টা থেকে বিদ্যুৎহীন বিয়ানীবাজারের দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা বেতাগীর সাবেক তিন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক মূক্ত দিবস পালিত নান্দাইলে পুকুরে ডুবে ও বর্জ্রপাতে ২জনের মৃত্যু খুলনা শিপইয়ার্ডে মোরেলগঞ্জের সেই নাঈম মোল্লা হত্যায় জড়িত র‍্যাব সদস্য গ্রেফতার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার বরের বাবা, পলাতক বর-কনে পদের লোভ দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে যুবদল নেতা প্রিন্স ইমরানকে শোকজ তাড়াইলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, দোয়া ও খাদ্য বিতরণ বাংলাদেশ ও জাপান এ বছরের শেষ দিকে ইপিএ স্বাক্ষর করবে প্রবাসীদের রেমিটেন্সেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস রিমান্ডে

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬১৭২ বার পঠিত

রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহী মহানগর আদালত পরিদর্শক আবুল হাসেম আলী জানান, আসামিকে ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বসানোয় আপত্তি তোলা রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আদালত-২-এর বিচারক শংকর কুমার তাকে রিমান্ডে পাঠান।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানগর আদালত পরিদর্শক আবুল হাসেম। তিনি জানান, আসামিকে ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠান।

এর আগে আব্বাস আলীর জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

রাজধানীর হোটেল রাজমনি ইশা খাঁ থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তাকে আটক করে র‍্যাব। পরে র‌্যাবের কাছ থেকে আব্বাসকে গ্রহণ করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের একটি দল।

ঘরোয়া একটি আলোচনায় মেয়র আব্বাস বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে কথা বলেন। ২২ নভেম্বর সেই আলোচনার অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

২৪ নভেম্বর মেয়র আব্বাসের নামে বোয়ালিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। মামলার বাদী নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এবং ১৩ নম্বর কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন।

এ ছাড়া চন্দ্রিমা থানায় নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এবং রাজপাড়া থানায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন একই ধরনের অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

আপত্তিকর মন্তব্যের সূত্র ধরে ২৫ নভেম্বর তাকে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ এবং ২৬ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

২৫ নভেম্বর কাটাখালী পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের সবাই তার প্রতি অনাস্থা জানিয়ে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এই দাবির একটি আবেদন রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন তারা।

যা বলেছিলেন মেয়র আব্বাস

১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের বক্তব্যে শোনা যাচ্ছে, তিনি একজনকে বলছেন, ‘সিটি গেট আমার অংশে। … ফার্মকে দিয়েছে তারা বিদেশি স্টাইলে সাজিয়ে দিবে; ফুটপাত, সাইকেল লেন টোটাল আমার অংশটা। কিন্তু একটু থেমে গেছি, গেটটা নিয়ে। একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে যে ম্যুরালটা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর, সেটা ইসলামি শরিয়ত মতে সঠিক নয়। এ জন্য আমি ওটা থুব না (রাখব না), সব করব তবে শেষ মাথাতে যেটা ওটা (ম্যুরাল)।’

মেয়র আব্বাস আলী বলছেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, ম্যুরালটা ঠিক হবে না দিলে। আমার পাপ হবে; তো কেন দিব, দিব না। আমি তো কানা না, যেভাবে বুঝাইছে তাতে আমার মনে হয়েছে, ম্যুরালটা হলে আমার ভুল করা হবে।

‘এ খবরটা যদি যায় তাহলে আমার রাজনীতির বারোটা বাজবে যে এই ম্যুরাল দিছে না। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করব নাকি। এ জন্য কিছু করার নাই। মানুষকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করা যাবে না।’

এই বক্তব্যের বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে গত শুক্রবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে মেয়র আব্বাস বলেন, ‘আমি তো মানুষ। আমি তো ভুল করতেই পারি। তার জন্য ক্ষমা চাই। তারপরও না হলে বহিষ্কার করবেন, আমার নামে মামলা দিবেন, যতটুকু ভুল করেছি, তার জন্য, কিন্তু একের পর এক অত্যাচার-জুলুম। আমার অসুস্থ মা তিন-চার দিন না খেয়ে আছে…

‘… আমি কী এত বড় অন্যায় করেছি? অন্যায় করলে তো আইন আছে। এভাবে এত কিছু করা কি ঠিক?… আমাকে বলা হচ্ছে, আমি দলের অনুপ্রবেশকারী। আমি যদি আওয়ামী লীগ ব্যতিত অন্য কোনো দল জীবনে করে থাকি, তাহলে সব শাস্তি মাথা পেত নেব… কেউ প্রমাণ করতে পারলে সুইসাইড করব।’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..