শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশকে মাথা তুলে দাঁড় করানোর রূপরেখা দিয়েছেন তারেক রহমান”— প্রভাষক ফকির রাসেল আল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসা ইউএনওকে রক্ষায় ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে মানববন্ধন কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত সিপিডির ক্লাইমেট উইকে অ্যাওয়ার্ড অর্জন শক্তি ফাউন্ডেশনের রনি-সীমান্ত নেতৃত্বে চুদলিংপং প্রতিবাদ মঞ্চ (চপম) যাত্রা শুরু করলো সরকারি বাঙলা কলেজের সাংবাদিক সমিতির সভাপতির উপর হামলা মোরেলগঞ্জে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আমতলীর ইউএনওর গোপন বৈঠক! নান্দাইলে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও পথসভা অনুষ্ঠিত নীলফামারীর ডোমারে সেবা ক্লিনিক এ সিজারের রোগীর রক্ত ক্ষরণে নারীর মৃত্যু

কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস রিমান্ডে

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬২১২ বার পঠিত

রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহী মহানগর আদালত পরিদর্শক আবুল হাসেম আলী জানান, আসামিকে ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বসানোয় আপত্তি তোলা রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আদালত-২-এর বিচারক শংকর কুমার তাকে রিমান্ডে পাঠান।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানগর আদালত পরিদর্শক আবুল হাসেম। তিনি জানান, আসামিকে ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠান।

এর আগে আব্বাস আলীর জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

রাজধানীর হোটেল রাজমনি ইশা খাঁ থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তাকে আটক করে র‍্যাব। পরে র‌্যাবের কাছ থেকে আব্বাসকে গ্রহণ করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের একটি দল।

ঘরোয়া একটি আলোচনায় মেয়র আব্বাস বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে কথা বলেন। ২২ নভেম্বর সেই আলোচনার অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

২৪ নভেম্বর মেয়র আব্বাসের নামে বোয়ালিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। মামলার বাদী নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এবং ১৩ নম্বর কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন।

এ ছাড়া চন্দ্রিমা থানায় নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এবং রাজপাড়া থানায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন একই ধরনের অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

আপত্তিকর মন্তব্যের সূত্র ধরে ২৫ নভেম্বর তাকে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ এবং ২৬ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

২৫ নভেম্বর কাটাখালী পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের সবাই তার প্রতি অনাস্থা জানিয়ে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এই দাবির একটি আবেদন রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন তারা।

যা বলেছিলেন মেয়র আব্বাস

১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের বক্তব্যে শোনা যাচ্ছে, তিনি একজনকে বলছেন, ‘সিটি গেট আমার অংশে। … ফার্মকে দিয়েছে তারা বিদেশি স্টাইলে সাজিয়ে দিবে; ফুটপাত, সাইকেল লেন টোটাল আমার অংশটা। কিন্তু একটু থেমে গেছি, গেটটা নিয়ে। একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে যে ম্যুরালটা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর, সেটা ইসলামি শরিয়ত মতে সঠিক নয়। এ জন্য আমি ওটা থুব না (রাখব না), সব করব তবে শেষ মাথাতে যেটা ওটা (ম্যুরাল)।’

মেয়র আব্বাস আলী বলছেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, ম্যুরালটা ঠিক হবে না দিলে। আমার পাপ হবে; তো কেন দিব, দিব না। আমি তো কানা না, যেভাবে বুঝাইছে তাতে আমার মনে হয়েছে, ম্যুরালটা হলে আমার ভুল করা হবে।

‘এ খবরটা যদি যায় তাহলে আমার রাজনীতির বারোটা বাজবে যে এই ম্যুরাল দিছে না। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করব নাকি। এ জন্য কিছু করার নাই। মানুষকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করা যাবে না।’

এই বক্তব্যের বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে গত শুক্রবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে মেয়র আব্বাস বলেন, ‘আমি তো মানুষ। আমি তো ভুল করতেই পারি। তার জন্য ক্ষমা চাই। তারপরও না হলে বহিষ্কার করবেন, আমার নামে মামলা দিবেন, যতটুকু ভুল করেছি, তার জন্য, কিন্তু একের পর এক অত্যাচার-জুলুম। আমার অসুস্থ মা তিন-চার দিন না খেয়ে আছে…

‘… আমি কী এত বড় অন্যায় করেছি? অন্যায় করলে তো আইন আছে। এভাবে এত কিছু করা কি ঠিক?… আমাকে বলা হচ্ছে, আমি দলের অনুপ্রবেশকারী। আমি যদি আওয়ামী লীগ ব্যতিত অন্য কোনো দল জীবনে করে থাকি, তাহলে সব শাস্তি মাথা পেত নেব… কেউ প্রমাণ করতে পারলে সুইসাইড করব।’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..