শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুরাদনগরে পুটি মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র

তাড়াইলে অবৈধ সীসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ- ১ জনকে জেল

আনোয়ার হোসাইন জুয়েল, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪
  • ৫৮৩১ বার পঠিত

মো. আনোয়ার হোসাইন জুয়েল, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে আবাসিক এলাকায় উন্মুক্তভাবে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এ সময় কারখানার দায়িত্বে থাকা দায়িত্বশীল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বাউলিয়া গ্রামের বয়াছ উদ্দিন বেপারীর ছেলে সোলাইমান (৫২) কে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের জেল ও ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

জানা যায়, শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের মাগুরী গ্রামের নরসুন্দা বাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হয়।

স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির আশ্রয়ে মাগুরী নরসুন্দা বাজারে পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সীসা তৈরীর কারখানাটি তৈরি করে গাইবান্ধা জেলার কতিপয় লোক। কারখানাটির চারপাশে টিনের বেড়ার তৈরি ঘরে চলছিল কারখানার কাজ। কোনো সাইনবোর্ড না থাকলেও কাছে গেলেই বুঝা যায়, ভিতরে রয়েছে সীসা কারখানা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরাতন ব্যাটারী কিনে এনে ঐ কারখানায় পুড়িয়ে সীসা তৈরি করতো। আর এই কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে স্থানীয়রা। আক্রান্ত হয়েছে ফসলের জমি আর ওই এলাকার মাঠের ঘাস খেয়ে গবাদি পশু মারা যায়। পুরনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা উৎপদনের কাজ চলতো রাতদিন। কারখানা থেকে বের হওয়া বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে যেত চারদিক। এই ধোঁয়ার কারণে আশপাশের এলাকাবাসীর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হত। বিশেষ করে ওই এলাকার অনেক শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, ব্যাটারির ধোঁয়া বাতাসে মিশে, ঘাসের ওপর পড়ে। আর সেই ঘাস খেলেই মারা যায় গরু। এ কারখানায় যারা কাজ করতো তাদের অনেকের বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার সময় কোনো মাস্কও ব্যবহার করতো না শ্রমিকরা। তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল কারখানা সংলগ্ন স্থানে। দুই ভাগে ভাগ হয়ে ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতো শ্রমিকরা। দিনের শ্রমিকরা ব্যাটারি ভেঙে খুলে রাখতো, আর রাতে চলত ব্যাটারি পোড়ানোর কাজ। ধোঁয়ার গন্ধে মানুষের চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে এলাকার অনেক মানুষ।

অভিযান পরিচালনার সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিতি ছিলেন, উপজেলা সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাইজুল ইসলাম। মোবাইল কোট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন তাড়াইল থানার একদল পুলিশ সদস্য।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন জানান, গোপন সূত্রে জানতে পারি এই এলাকায় অটোর ব্যাটারী পুড়িয়ে সীসা তৈরি করছে এবং ইহার বিষাক্ত ধোঁয়ায় আশেপাশের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের সময় কারখানায় থাকা একজনকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ মাসের কারাদন্ড ও ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করি। পাশাপাশি কারখানায় ব্যবহৃত সিসা তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জামাধি উদ্ধার করি। পরিবেশ সুরক্ষায় অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..